নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রাসের নাম ওমিক্রন। গোটা বিশ্ব কাঁপছে করোনার এই নতুন প্রজাতির হানা নিয়ে। ইতিমধ্যেই ৩৮ টি দেশে খোঁজ মিলেছে করোনার এই নতুন প্রজাতির। ভারতেও হানা দিয়েছে ওমিক্রন। তাই আগেভাগেই সমস্ত পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো সাজাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেলেঘাটা আইডি ও এমআর বাঙুর হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা করা হবে। ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মূলত জিনোম ও আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হচ্ছে। রাজ্যে কল্যাণীতে সেই টেস্ট চলছে। এবার ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত আগেই সেরে ফেলল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
এরই সঙ্গে ওমিক্রন প্রজাতিকে নিয়ন্ত্রন করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ-সহ পরিবহণ, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম মেনে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানোর পর, নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন বিদেশ কিংবা দেশ যেখান থেকেই কেউ যাত্রী আসুক, তাঁদের আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। রিপোর্ট পজিটিভ এলে বেলেঘাটা আইডিতে চিকিৎসা হবে। সেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহন করে কল্যাণীর জিনোম সিকুয়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। জিনোম পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এলে বেলেঘাটা আইডি ও এম আর বাঙ্গুরে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে চিকিৎসা করা হবে আক্রান্ত রোগীকে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই সরকারি হাসপাতালে ৫০ টি করে মোট ১০০ টি শয্যা রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকের পর জানান, ‘বিদেশ থেকে রাজ্যে যাঁরা এসেছেন তাঁদের লালারস পরীক্ষা করে কোভিড পজিটিভ কোনও যাত্রী পাওয়া যায়নি। তবে আগামী দিনের কথা ভেবে বেলেঘাটা আইডি এবং এমআর বাঙুর হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’