নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন। সেদিনই মহানগরের ভোটাররা বুথমুখো হবেন এটা ঠিক করতে যে আগামী ৫ বছর শহর কলকাতার উন্নয়ন তাঁরা কাদের হাতে তুলে দেবেন। কাদের হাতে থাকবে শহরকে সাজানো গোছানোর দায়িত্ব, উন্নয়ন করার দায়িত্ব, পুরপরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব। তবে তার আগে এদিন মানে শুক্রবার বিকালেই শেষ হয়ে যাচ্ছে পুরনির্বাচনের প্রচারের সময়সীমা। তাই শেষ দিনে সকাল থেকেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রার্থীরা বেড়িয়ে পড়েছেন শেষ মুহুর্তের জনসংযোগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হচ্ছে মিছিল বা র্যালী যাতে কম সময়ে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এমনিতেই এবারে প্রচারে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। তুলনায় অনেকটাই ম্রিয়মান দেখিয়েছে বিরোধীদের। বিশেষ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যেভাবে নিজেদের প্রচার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে তা বোধহয় এবারের নির্বাচনে সব থেকে বড় নজরকাড়া ঘটনা হয়ে থেকে গেল।
মূলত দুর্বল সংগঠনের জন্য এবারে প্রচারে সেভাবে নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের হয়ে না দেখা গেল কোনও কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রীকে না দেখা গেল কোনও তারকাকে। শহরের অর্ধেকেরও বেশি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছাতেই পারেনি পদ্মশিবির। তুলনায় কম আসনে প্রার্থী দিয়ে নজর কাড়ল বামেরা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম তুলে আনার ক্ষেত্রে যেভাবে বেশ কিছু বাছাই করা রেড ভলান্টিয়ার্সদের প্রার্থী করা হয়েছে তা রীতিমত নজর কেড়েছে কলকাতা পুরবাসীর। এদিন সকাল থেকেই তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়ে রাস্তায় নেমেছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিষ কুমার, মালা রায়, রাজ চক্রবর্তীরা। রাস্তায় নেমেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। মিছিল করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সায়ন্তন বসুর মতো নেতারাও। তবে নানা সমীক্ষা কিন্তু বলছে শহর কলকাতার দখল এবারেও নিজেদের হাতেই রাখছে তৃণমূল। তবে বিরোধী পরিসরে বামেদের ধাক্কা দিয়ে উঠে আসতে পারে বিজেপি। এখন দেখার বিষয় ১৯ তারিখ কলকাতাবাসী কাকে বেছে নেন শহরের ছোট লালবাড়ির দখলের জন্য যা জানা যাবে আগামী ২১ ডিসেম্বর বিকালের মধ্যেই।