এই মুহূর্তে




এক শহর মূর্তি ভাঙে মুজিবের, আরেক শহর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আগলে রাখে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই বাংলার দুই শহর। একটির নাম ঢাকা(Dhaka), অপরটি কলকাতা(Kolkata)। সেই দুই শহরে এখন দুই ভিন্ন চিত্র। এক শহরে মুজিবের(Sheikh Mujibar Rahaman) মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে, তাঁর মুরাল কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। অন্য শহরে আজও আগলে ধরে রাখা হয়েছে কলেজ হোস্টেলের একটি ঘর। কেননা ছাত্রাবস্থায় সেই ঘরেই যে থাকতেন বাংলাদেশের জাতির জনক তথা বঙ্গবন্ধু(Bangabandhu) শেখ মুজিবর রহমান। বাংলাদেশের(Bangladesh) বুকে শেখ হাসিনার(Sheikh Hasina) নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটার পর থেকেই সে দেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। হাসিনার দেশত্যাগের পরে পরেই আক্রমণ নেমে এসেছে তাঁর দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। শয়ে শয়ে মানুষ খুন গুম হয়েছেন। আঘাত ও অত্যাচার নেমে এসেছে সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপরেও, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর। ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা তাণ্ড চালাচ্ছে তাঁরা ঢাকা শহরে তো বটেই, দেশের সর্বত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ও মুরাল। ঠিক সেই অবস্থায় চূড়ান্ত বিপরীত ছবি কলকাতার বুকে।

আরও পড়ুন ঝাড়গ্রাম থেকে ৩০০ কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর ছাত্রাবস্থা কেটেছে এই শহরে। পড়তেন তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজে, যে কলেজের বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ(Maulana Azad College)। সেই কলেজে থাকার সময় তিনি থাকতেন কলেজের হোস্টেলে। তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজের অধীনে থাকা তালতলার বেকার হস্টেলের তেতলায়, ২৪ নম্বর ঘরে থাকতেন তিনি। সেই ঘর আজ ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’। ১৯৪৫-’৪৬ সালে এই ঘরেই দিন কেটেছে মুজিবের। তিনি আর নেই, কিন্তু তাঁর স্মৃতিকে আজও বুকে ধরে আগলে রেখেছে কলকাতা। বাংলাদেশে যে কায়দায় বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে, তাঁর মুরাল কালিমালিপ্ত করা হয়েছে, তাতে ব্যথিত এ পার বাংলার আপামর মানুষ। কারণ তাঁরাও যে বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন, অন্তর দিয়েই। তাঁর অপমান যে বাঙালিরও অপমান। বাঙালি সত্ত্বার অপমান। চোখ ফেটে তাই জল গড়ালেও বাস্তবকে মেনে নিতে হচ্ছে এপার বাংলার বাসিন্দাদেরও। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন বাম সরকার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধায় বেকার হস্টেলের ২৪ নম্বর ঘরটি ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’ হিসাবে সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়। ওই বছর শেখ হাসিনাও এই ছাত্রাবাসে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে প্রতি বছর ২৪ নম্বর ঘরটি খুলে স্মরণসভা করা হয়।

আরও পড়ুন বাংলাদেশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ পোস্ট নয়, সতর্ক করল পুলিশ

এখনও বাংলাদেশে যখন লাঞ্চিত হচ্ছে মুজিবের মূর্তি তখন কলকাতায় সযত্নে রক্ষিত হচ্ছে মুজিবের স্মৃতি। আজও সেই ঘর রয়েছে সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো অবস্থায়। এক কোণে রাখা খাট। ওপরে বিছানো সাদা চাদর। মাথার দিকে জলরঙে আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছাত্রাবস্থার ছবি। খাটের পাশে রাখা চেয়ার, টেবিল। যেখানে বসে পড়াশোনা করতেন তিনি। টেবিলের ওপরে সার দিয়ে রাখা বঙ্গবন্ধুর লেখা একাধিক বই। দেওয়ালে রয়েছে অজস্র ছবি। ঘরে ঢুকতেই ডান দিকের ফ্রেমে কাজী নজরুল ইসলামের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। আবার রয়েছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে মুজিবের হাসিমাখা ছবি। কোনও ফ্রেমে স্কুলপড়ুয়াদের হাত থেকে ফুল নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। কোনও ছবিতে আবার দেখা গেল, বঙ্গবন্ধুর শপথ অনুষ্ঠানে পাশে বসে রয়েছেন ইন্দিরা গান্ধি। ঢাকা থেকে উৎখাত হয়েও কলকাতার হৃদয়ে থেকে গেল বঙ্গবন্ধু।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোদপুরের বাড়িতে গিয়ে আরজি করের নিহত পড়ুয়ার বাবার হাতে ডেথ সার্টিফিকেট তুলে দিলেন স্বাস্থ্য সচিব.

সুনীতা উইলিয়ামসের নাম বলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেললেন শুভেন্দু

তথ্য কমিশনের দুই সদস্যের নাম চূড়ান্ত হল, এলেন ডি জি রাজীব কুমারের স্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ

‘আমরাও চাই আরজি করের নির্যাতিতা যথাযথ বিচার পাক’, বিধানসভায় বললেন মমতা

ভয়ঙ্কর ঘটনা, নিউটাউনের ছ’তলা থেকে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর

বৃহস্পতিবার থেকে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ,কমলা সর্তকতা জারি কলকাতা সহ একাধিক জেলায়

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর