নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা বিমানবন্দর(Kolkata Airport) থেকে ধর্মতলা, সাঁতরাগাছি, গড়িয়া, জোকা, সাঁতরাগাছি প্রভৃতি রুটের এসি বাস পরিষেবা চালু হয়েছিল আগেই। তাতে ভাল যাত্রীও হয়। কিন্তু সেই সব বাস সব জায়গাতেই স্টপেজ দেয়। এবার কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্য পরিবহণ নিগমের টার্মিনাস থেকে চালু হয়ে গেল ওয়ানস্টপ এসি বাস পরিষেবা(One Stop AC Bus Service)। এই বাস যাবে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হাওড়া স্টেশন(Howrah Station) অবধি। বিমানবন্দর টার্মিনাস থেকে ছেড়ে এই বাস কৈখালি, উল্টোডাঙা, কাঁকুরগাছি, গিরিশ পার্ক, চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, ধর্মতলা(Esplanade) ও বিবাদীবাগ হয়ে হাওড়া স্টেশন যাবে। কিন্তু ধর্মতলা বাদে এই বাস কোথাও যাত্রী তোলার জন্য বা নামাবার জন্য থামবে না। অর্থাৎ যারা হাওড়া স্টেশন থেকে বা ধর্মতলা থেকে বিমানবন্দর যেতে চাইবেন বা সেখান থেকে এই দুই জায়গায় আসতে চাইবেন কেবলমাত্র তাঁরাই এই বাস পরিষেবা নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন, পরিবহণ ও আবাসন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা বিমানবন্দরে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন। আপাতত মাত্র ২টি এসি বাস এই শাটল পরিষেবার জন্য নামানো হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা এবং চাহিদা বাড়লে ভবিষ্যতে বাস পরিষেবাও বাড়ানো হবে বলে এদিন মেয়র জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরের অন্তর্দেশীয় বিভাগে থাকা ট্রলি জোনের শেষ প্রান্ত থেকে এই বাস পরিষেবা মিলবে। যে দুটি এসি বাস নামানো হয়েছে এই পরিষেবার জন্য সেই দুটি বাসই ই-বাস অর্থাৎ ইলেকট্রিক চার্জের মাধ্যমে তা চলবে। ভোর থেকে বেশি রাত পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। তবে এই বাস ধর্মতলার এল-৩০ বাসস্ট্যান্ডে মাত্র ৩ মিনিটের জন্য দাঁড়াবে। বিমানবন্দর থেকে ধর্মতলাই হোক বা হাওড়া স্টেশন যেখানেই যান না কেন ভাড়া পড়বে ১০০ টাকা।
এদিন এই পরিষেবার উদ্বোধন করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, তাঁরা যেন টার্মিনালের ভিতরে বাইরে তাঁদের পাবলিক অ্যাড্রেস ডিসপ্লে বোর্ডে এই বাস সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করেন। এই বাসে করে এক ঘন্টায় এয়ারপোর্ট থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনো সম্ভব৷ এই যাতায়াতের সময় একটাই স্টপেজ দেওয়া হবে। অফিসযাত্রী থেকে পর্যটক সকলের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ থেকেই এই পরিষেবা পাবেন নিত্যযাত্রীরা। অনেক সময় ট্রেন থেকে নেমে ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার তা হবে না। আগে গ্র্যান্ড হোটেল থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বাস পরিষেবা ছিল৷ কিন্তু গত ৩০ বছর ধরে সেটা বন্ধ ছিল৷ তাই আমি ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট সংস্থার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছিলাম যাতে পুনরায় এই বাস পরিষেবা চালু করা যায়৷ ওনারা সেটা করলেন৷ ইলেকট্রিক এই বাস চালু হওয়ায় দুই শহরের বহু মানুষ যাঁরা এয়ারপোর্টে আসেন তাদের অনেক সুবিধা হবে৷ আমি এয়ারপোর্টের ম্যানেজারকেও বলেছি আমাদের টাইমিংগুলি ডিপার্চারে লিখে দেওয়ার জন্য।’