নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যান পদে বসলেন কৃষ্ণ কল্যাণী (KRISHNA KALYANI)। তিনি রায়গঞ্জের বিধায়ক। বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভোটে। তবে পরবর্তীকালে বিজেপি শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। পিএসি চেয়ারম্যান পদে সাধারণত বসেন বিরোধী দলের কোনও ব্যক্তি। মুকুল রায়ের ইস্তফার পরে এই পদে বসানো হল কৃষ্ণ কল্যাণীকে।
মুকুল রায় ইস্তফা দেওয়ার পরেই পিএসি চেয়ারম্যান পদের জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর। তারপরে সোমবার সেই পদে আনুষ্ঠানিক ভাবে বসলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। আর এতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। কারণ, বিজেপি শিবিরের বিধায়ক হলেও কৃষ্ণ কল্যাণী গেরুয়া শিবিরের বিক্ষুব্ধ নেতা।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন বিধানসভার (BIDHAN SABHA) পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) (PAC) চেয়ারম্যান (CHAIRMAN) পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার চিঠি গ্রহণ করেছিলেন অধ্যক্ষ (SPEAKER) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার নিজেই কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, গিত ২৭ জুন মুকুল রায় ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। তারপর তাঁর সঙ্গে অধ্যক্ষ নিজে ফোনে কথা বলেন। জানতে চেয়েছিলেন, মুকুল রায়কে (MUKUL ROY) ইস্তফা দেওয়ার জন্য কেউ চাপ দিচ্ছে বা ভয় দেখাচ্ছে কি না। প্রত্যুত্তরে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন। অন্যদিকে, ওই দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (KRISHNA KALYANI)। উত্তর দিনাজপুরের এই তৃণমূল (TMC) নেতা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে (BJP) গিয়ে রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হন। জিতেও যান। কিন্তু তার কয়েকমাসের মধ্যেই তিনি ফের তৃণমূলের সঙ্গে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। এখন তিনি খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক হলেও বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে কার্যত কোনও যোগাযোগই রাখেন না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এবার তাঁকে রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান করা হল। যার অর্থ, ফের আরও একদফা বিজেপির মুখের খাবার ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।