নিজস্ব প্রতিনিধি: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে চোখে ছানির সমস্যা। এমনই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ৬ জন শিশু চোখে ছানি নিয়ে জন্মায়৷ শুধু তাই নয় শিশুদের অন্ধত্বের পিছনে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে থাকে ছানির সমস্যা৷
শহরাঞ্চলে আগের তুলনায় শিশুদের চোখে ছানির সমস্যা বাড়ছে৷ ৫ বছর আগেও দেশের শহরাঞ্চলে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭টি ক্ষেত্রে শৈশবে ছানি পড়ার মতো সমস্যা দেখা যেত৷ কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে সংখ্যাটা হয়েছে ১০ থেকে ১৫৷ ফরিদাবাদের এক চক্ষু চিকিৎসক জানান, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে ২ লাখ শিশু অন্ধত্বের শিকার হয়৷ ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার শিশু জন্ম নেয় চোখে ছানির সমস্যা নিয়ে৷ চিকিৎসকদের মতে, বিভিন্ন কারণে শিশুদের চোখে ছানি পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। প্রথমত, পরিবারে যদি কারোর ছানির সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে শিশুর চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা থাকে। অর্থাৎ ফ্যামিলি হিস্ট্রি শিশুর চোখে ছানি পড়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নেয়৷ দ্বিতীয়ত, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যদি জটিল ও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন মা, তাহলে গর্ভস্থ শিশুর চোখে ছানি পড়তে পারে। তৃতীয়ত, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যদি মা স্টেরয়েড নেন তবে গর্ভস্থ শিশুর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ চতুর্থত, জন্মের পর শিশুর চোখে আঘাত, অপুষ্টি, রাসায়নিকের প্রভাব বা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও শিশুর চোখে ছানি পড়তে পারে।
ছানি রোধ করতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুরা বেশিরভাগ সময় বুঝতে পারে না তাদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে বাবা মা’কে এই বিষয়ে শিশুদের প্রতি নজরা রাখতে হবে। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও শিশুদের প্রতি এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। শ্রেণীকক্ষে শিশুরা দূর থেকে ব্ল্যাকবোর্ড বা দেওয়ালে টাঙানো চার্ট ইত্যাদি দেখতে পাচ্ছে কিনা বা দেখতে সমস্যা হচ্ছে কি না তা জানার পরেই বাবা মাকে জানাতে হবে। চিকিৎসকরা জানান, শিশুর চোখে ছানি যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে, ততই ভাল৷ দেরি হলে চিকিৎসায় জটিলতা বাড়বে৷
(ছবি: প্রতীকী)