নিজস্ব প্রতিনিধি: নিম্নচাপের বৃষ্টি বিদায় নিলেও করোনা কাঁটা থেকেই যাচ্ছে এবারের পুজোতেও। কিন্তু তাই বলে কি প্যান্ডেল হপিং করা যাবে না? ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট দর্শকশূন্য মণ্ডপ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আপামর বাঙালির মনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যান্ডেল হপি করলেও প্রতিবছরের মতো দল বেঁধে না বেরোলেই ভাল। তবে একা একাও ঠাকুর দেখার মজা নেই। তাহলে উপায়? করোনা সচেতনতার পাশাপাশি প্যান্ডেল হপিংয়েও যাতে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই এবার সাইকেল রাইডিংয়ের ব্যবস্থা করল নিউটাউন-কলকাতা ডেভলপমেন্ট অফরিটি। এর ফলে মণ্ডপ ছাড়াও পুজোর সময় সাইকেল নিয়ে যে কোনও জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যাবে।
স্মার্ট সিটি নিউটাউনে এমনীতেই সারাবছর অ্যাপভিত্তিক সাইকেলের ব্যবস্থা রয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং করার পর নির্দিষ্ট জায়গাতেই পাওয়া যায় সাইকেল। এরপর গন্তব্যে পৌঁছনোর পর সেখানেই রেখে দেওয়া যায়। পরে সেখান থেকে সাইকেলটি সংগ্রহ করে নেয় অ্যাপ সংস্থার কর্মীরা। তবে এবার পুজোতেও সাইকেলের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে এনকেডিএ। এক্ষেত্রে নিউটাউনের কলকাতা গেট ও রবীন্দ্রতীর্থ থেকে পাওয়া যাবে সাইকেল। এই সুবিধা মিলবে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত। সকাল ৮টার পর থেকেই সাইকেল সংগ্রহ করা যাবে। আগে থেকে সাইকেল বুকিংয়ের জন্য এনকেডিএ-র ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
সাইকেল নিয়ে প্যান্ডেল হপিংয়ে গিয়ে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্য নিউটাউনের প্রতিটি পুজো কমিটির সঙ্গেই এ নিয়ে আলোচনা করেছে এনকেডিএ। পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে, মণ্ডপ লাগোয়া জায়গায় সাইকেলের জন্য একটি পার্কিং লট তৈরি করতে। এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, নিউটাউন ক্রমশ সাইকেল নির্ভর হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র সাইকেল চলাচলের জন্য ২০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এমন আরও ৭০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। তবে পুজোয় সাইকেল রাইডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়ায়, একদিকে যেমন দল বেঁধে মানুষ প্যান্ডেল হপিং করবেন না, অন্যদিকে প্রতিটি দর্শনার্থীর মনে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।