-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 4:41 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলের(Correctional Home) বাইরে আসলেই কানের কাছে চিৎকার করে শ্লোগান। থেকে থেকেই জুতো ছুঁড়ে মারা হচ্ছে। ইডি(ED)-সিবিআইয়ের(CBI) লোকেরা দেখেও দেখছে না। সঙ্গে ‘চোর’ শ্লোগান তো আছেই। কিন্তু এবারে জেলের ভেতরেও কিনা সেই একই ছবি। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলেও শুনতে হচ্ছে, ‘ওই দেখ কুমড়োপটাশ যাচ্ছে। ব্যাটা একনম্বরের চোর।’ হ্যাঁ এবার জেলের ভিতরেও নিয়মিত এবং হামেশাই ‘চোর’ টিপ্পনী(Loose Comments) কার্যত নীরবেই শুনতে হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)। আগে শুধু জেলার বাইরে পা রাখলে এইসব শোনা যেত, এখন জেলের ভেতরেও শুনতে হচ্ছে ‘চোর চোর’ আওয়াজ।
আরও পড়ুন দুয়ারে সরকারে দুর্নীতি, Zero Tolerence’র নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
কিছুদিন আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘মোটা টুকি’ বলে ডেকে হইচই বাঁধিয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি দুই দাগি চোর। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি সপ্তাহের গোড়ায় ফের পার্থকে নিয়ে টিকাটিপ্পনি। এবার ‘বড় চোর’ বলে ডেকে পার্থকে খেপিয়ে দেয় দুই ছিঁচকে চোর। শুধু তাই নয়, পার্থর সেলের সামনে গিয়ে ‘চাকরি চোর’ বলে বার কয়েক ডাকা হয় তাঁকে। বাথরুমে যেতে গেলেও শুনতে হচ্ছে ‘মোটা চোর’। সেলের বাইরে পা রাখলেই চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে গান গেয়ে শোনানো হচ্ছে, ‘ওই মোটা চোর যায়, লাল জুতো পায়, বড় বড় দাদারা সব পিছু হটে যায়’। কেউ কেউ আবার চিরকুট ছুঁড়ে দিচ্ছে সেলের ভিতরে। তাতে আবার লেখা থাকছে, ‘এই চোর আমার একটা চাকরি করে দে। না দিলে তোর অপাকে চুরি করে নেব।’ কার্যত এই উপদ্রবে এখন জেলের অন্দরে রীতিমত তিতিবিরক্ত পার্থ। এমনকি এই সব নিয়ে নালিশও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েতে কোনভাবেই বিজেপির সঙ্গে জোট নয়, বার্তা বিমানের
কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থকে কে বা কারা বিরক্ত করছেন তা খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের জেলের অন্যপ্রান্তে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও হয়েছে। তবে কারা আধিকারিকেরা নিশ্চিত নন যে এমন ঘটনা আগামী দিনে আর ঘটবে না। কার্যত কটাক্ষ আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ এখন পার্থর নিত্যসঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ‘চোর, চোর’ তো শুনতে হচ্ছেন এখন তার সঙ্গে জুড়েছে নানা টিপ্পনী মার্কা কথাও। এমনকি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে(Arpita Mukhopadhay) নিয়েও কথা ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর দিকে। সূত্রে জানা গিয়েছে সেই সব কথা আবার রীতিমত কান গরম করে দেওয়ার মতো। সেই সব শুনে পার্থ মাঝে মধ্যে চিৎকারও করে উঠছেন। সঙ্গে কারারক্ষীদের ডেকে বলছেন, ‘এটা কী হচ্ছে! যখন তখন যে যা পারছে, বলে চলে যাচ্ছে। শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। এটা ঠিক নয়। আপনারা বিষয়টা দেখুন।’