নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘ডিসেম্বরের ১২–১৪–২১ এই তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।’ আজ সেই ৩টি তারিখের মধ্যে একটি তারিখ। ১২ ডিসেম্বর। আর এই দিনেই কিনা প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের তৃণমূলের(TMC) প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Charttopadhay) জানিয়ে দিলেন, ‘তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না।’ দলের কোনও পদে না থেকেও পার্থবাবুর এই দাবি কিন্তু হেলায় উড়িয়ে দিতে পারছেন না কোনও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই। কেননা তাঁদের দাবি, বাংলায় ভোট হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নামে। মমতা যতদিন সমহিমায় থাকবেন ততদিন কোনও দল, কোনও মামলা, কোনও দুর্নীতি তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারবে না। আর তৃণমূলকে হারাবার মুরোদও এখন কোনও রাজনৈতিক দলের নেই এই বাংলার বুকে। স্বভাবতই পার্থ যে ভুল নন সেটাই মেনে নিচ্ছেন বাংলার রাজনৈতিক বিশারদরা, তা সে শুভেন্দু যে দাবিই করুন না কেন।
আরও পড়ুন সংগঠন বেহাল, মুখে শুধুই বড় বড় কথা, ক্ষুব্ধ নাড্ডা
এদিন এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। সেখানেই হাজির করানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থবাবু আদালত চত্বরে গাড়ি থেকে নামতেই সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ প্রসঙ্গে। তারই জবাবে পার্থবাবু বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়িয়ে জবাব দেন, ‘তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, কেউ পারবে না।’ ঘটনাচক্রে এদিনই আবার দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি রয়েছে। সুতরাং কেষ্টর নয়াদিল্লি যাতা হয় কি হয় না এই নিয়ে আদালত কী রায় দেয় সেদিকেও সকলে তাকিয়ে আছেন। তার মাঝেই পার্থ’র দাবি কার্যত রাজ্য রাজনীতিতে নতুন রঙ ছড়িয়ে দিল। শুভেন্দু বার বার নানা সময়ে দাবি করেছেন, ‘সরকার পড়ে যাবে, লেম অ্যান্ড ডাক হয়ে পড়বে সরকার এবং বড় ডাকাত ধরা পড়বে।’ তাই ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে। কিন্তু পার্থ যেভাবে বলে দিলেন যে তৃণমূলের কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না তা কার্যত মমতার প্রতি বাংলার আমজনতার বিশ্বাস, ভরসা ও ভালবাসাই ফুটে উঠেছে। যা জেলে বসেও উপলব্ধি করছেন পার্থ।