নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় খবর, একদমই নয়। চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা, তাও নয়। বরঞ্চ অনেকটাই প্রত্যাশিত। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে(Bankshal Court) শুক্রবার তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে(Partha Chattopadhay)। কেননা এদিনই ইডির(ED) হেফাজতে তাঁর থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেন। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে আদালতে জানানো হয়, যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁর বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন। কেননা ইডি, তাঁর জামিনের বিরোধিতা করছে। তাঁদের আইনজীবীদের দাবি, পার্থ এখন মন্ত্রী না থাকলেও যথেষ্ট প্রভাবশালী। তিনি জামিনে মুক্তি পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তাই তাঁকে যেন জামিন না দেওয়া হয়। সেই হিসাবে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে তাঁর প্রভাবশালী যোগও কিন্তু আর থাকবে না।
স্কুল সার্ভিস কাণ্ডে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukhopadhay)। শুক্রবার তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছে তাঁদের ইডির হেফাজতে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও ইডির তরফে তার বিরোধিতা করা হয়। কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয় পার্থ’র প্রভাবশালী তত্ত্ব। সেই তত্ত্বের বিরোধিতা করে পার্থ’র আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁর বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন। যদিও। তৃণমূল সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে দলের তরফেই পার্থকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়ার জন্য। সম্ভবত সেই বার্তাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন পার্থ। তাতে এখনই না হলেও পরবর্তীকালে তাঁর জামিন পেতে অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।