নিজস্ব প্রতিনিধি: মন্ত্রিত্ব হারানোর পর ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলে বিস্ফোরক মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। হাত পা ছুঁড়ে হাউ হাউ করে কান্না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। শুক্রবার দুপুরে জোকা ইএসআই হাসপাতালের সামনে এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল সবাই।
শুক্রবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে হাসপাতালে রওনা দেন। আর এরপর সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’
৪৮ ঘন্টা অন্তর ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার দুজনের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি। গাড়িতে বেশকিছুক্ষণ ধরে বসে থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে ইডির আধিকারিকরা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গাড়ি থেকে নামাতে গেলে তিনি নামতে অস্বীকার করেন। হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন অর্পিতা। শেষমেশ তাঁকে জোর করে গাড়ি থেকে নামান ইডির আধিকারিকরা। টেনে হিঁচড়ে হুইল চেয়ারে চাপিয়ে তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও ইডির আধিকারিকরা হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডির তদন্তকারীরা গ্রেফতার করার পর বুধবার তাঁকে সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেইকে অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সাসপেন্ড করার পর স্বাভাবিকভাবে দলের মহাসচিব-সহ ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও তিনি অপসারিত হন। মন্ত্রিত্ব হারানো ও দলীয় পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।