এই মুহূর্তে




‘জামাতরা দেশটাকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে চাইছে’, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন পদ্মা পাড়ের মানুষেরা

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: সোম দুপুরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুজিবের ভূমি ছেড়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। যতক্ষণ সে দেশে ছিলেন ততক্ষণ একটা আশা ছিল সে দেশের নাগরিকদের একাংশে যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হাসিনা বাংলাদেশ(Bangladesh) ছাড়তেই সেই সব মানুষেরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এদের অনেকেই আওয়ামী লীগের(Awami League) কর্মী বা সমর্থক। আছেন অনেক হিন্দু, বৈদ্ধ, খ্রীষ্টানও। এরাই গতকাল বিকাল থেকে প্রাণ হাতে বাংলাদেশ ছাড়তে শুরু করে দিয়েছেন। যেভাবেই হোক চলে আসছেন ঢাকা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে বিমান ধরে কলকাতায়(Kolkata)। আর এপার বাংলায় পা রেখেই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন। সাফ জানাচ্ছেন, ‘অবস্থা খুবই খারাপ। যাকে যেভাবে পারছে বিএনপি(BNP) আর জামাত(Jamaat-e-Islami) শিবির অত্যাচার করছে। জামাতরা দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চাইছে, আফগানিস্তান বানাতে চাইছে।’

আরও পড়ুন শুভেন্দুকে শাহি তলব, দিল্লি উড়ে গেলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা

গতকাল হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই সেখানকার পরিস্থিতি অশান্ত-অগ্নিগর্ভ হয়ে ওথে। সোমবার বিকাল থেকে দুই দেশের বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছিল। এদিন সারা বাংলাদেশই বেশ থমথমে রয়েছে। তবে কার্ফু উঠে গিয়েছে। রাস্তায় যানবাহণ নেই বললেই চলে। কিছু বেসরকারি অফিস খুললেই কর্মীদের দেখা মিলছে না। তবে গতকালের মতোই আর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেই এদিন। কিন্তু যারা রাতারাতি বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন এদেশে তাঁরা এখনও আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। তাঁরাই এদেশের সংবাদমাধ্যমকে শুনিয়েছেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। এদের বক্তব্য, ‘বাংলাদেশের এখন মারাত্মক পরিস্থিতি। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটা নির্বাচন হোক। ধারাবাহিকতা বজায় আসুক। একটা গোটা দেশে এই পরিস্থিতি কখনই কাম্য নয়। সেনা এখন আপাতত পরিস্তিতি সামাল দিক। তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটা নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। এই অবস্থা কোনও দেশের পক্ষেই ভাল নয়।’

আরও পড়ুন গিরি অতীত, শুভেন্দুর জেলায় তৃণমূলের ব্যাটন যেতে পারে উত্তমের হাতে

মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল কলকাতা ঢাকা বাস পরিষেবা। বাস পরিবহন সংস্থার বেশ কয়েকটি মালিক আপাতত পরিষেবা চালু করেছেন। চিকিৎসার প্রয়োজন ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন কলকাতায়। ঢাকায় ফেরার ব্যাপারে উদ্যোগী হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য ফিরতে পারেননি তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় আপাতত আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু বাসগুলি সীমান্ত পার হতে পারেনি। বাস সংস্থাগুলির দাবি, সে দেশে এখন নিরাপত্তা নেই। তাই যাত্রী নিরাপত্তার খাতিরেই তাঁরা পেট্রাপোল সীমান্ত অবধি যাত্রীদের পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তারপর আর তাঁরা পা রাখছেন না পদ্মাপাড়ের দেশে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও এখন বেশ কড়া নজরদারি।

আরও পড়ুন বাংলাদেশে অস্তিরতার আঁচ কলকাতার হোটেল আর পরিবহণের ব্যবসায়

এই পরিস্থিতিতে এদেশে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগের কর্মী থেকে সমর্থকদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে সংসদভবন সবকিছু তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁদের দাবি ও প্রশ্ন, ‘কখনও শিক্ষিত ছাত্র সমাজ এমনটা করতে পারে? একটা শিক্ষিত ছাত্র কখনও গিয়ে কারও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় নাকি, লুঠপাট করে নাকি? আওয়ামী লিগের নেতা যারা, তাদের ঘরবাড়ি লুঠপাট চলছে। মেরে ফেলছে, গুম করে দিচ্ছে। আন্দোলন শুরু হয়েছিল ছাত্রদের। কিন্তু এখন ছাত্রদের ঘাড়ে বন্দুক রেখেছে জামাত শিবির। ছাত্ররাও সেটা বুঝতে পারছে আস্তে আস্তে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

আরজি কর কাণ্ডে মহানগরীর পথে ‘ইনসাফ’ চেয়ে রিক্সা চালকদের প্রতিবাদ মিছিল

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর