নিজস্ব প্রতিনিধি: আবার সেক্স টয়(Sex Toy) আসিল ফিরিয়া। তবে এবার আর অর্পিতার ঘরে নয়, পার্থ’র কোলেও নয়। সেক্স টয় মিলল এক বিউটি পার্লারে(Beauty Parlor)। তাও আবার পুলিশি হানায়। বিউটি পার্লারের আড়ালে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। সেই অভিযোগের জেরেই হুট করে পুলিশি(Police) হানা। আর তাতেই পার্লার থেকে শুধু সেক্স টয় নয়, উদ্দার হয়েছেন গুচ্ছের কন্ডোম(Condom)। সেই সঙ্গে গ্রেফতার(Arrest) হয়েছেন ৪জন যুবতী সহ মোট ৫জন। বেশি দূরে নয়, কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁআড় দূরে থাকা বারুইপুরে(Baruipur) ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর হতে চলা বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা একটি বিউটি পার্লারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এলাকার কিছু বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল অই বিউটি পার্লারে দেহ ব্যবসা চালানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। যদিও সেখানে দেহ ব্যবসা চালানোর কোনও কিছু তাঁদের চোখে পড়েনি। কিন্তু সেই পার্লার থেকে উদ্ধার হয়েছে সেক্স টয় ও গুচ্ছের কণ্ডোম। আর তা ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই বিউটি পার্লারের ভেতরে দেহব্যবসা চলে। আর তার জেরে বাইরের ছেলেরা এসে ভিড় করে ওই পাড়ায় বিউটি পার্লারের আশেপাশে। তাতে পাড়ার বদনাম হচ্ছে। পুলিশ ওই পার্লার থেকে একজন পুরুষ ও চারজন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। কেননা তাঁরা এটা জবাব দিতে পারেননি যে পার্লারে সেক্স টয় আর কন্ডোম কোন লাজে লাগে। শুক্রবার তাদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পার্লারের ভিতরে আলাদা করে একটি কেবিন আছে। সেখানেই মিলেছে থরে থরে সাজানো সেক্স টয়, যৌন মিলনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র, মদের বোতল ও প্যাকেট প্যাকেট কন্ডোম। তাতেই পুলিশ বুঝতে পারে সেখানে দেহ ব্যবসা চালানো হয়। যদিও পুলিশি অভিযানের সময় সেখানে কোনও খদ্দের ছিল না। পার্লারের মালিক সহ যে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাঁরা সবাই নিজেদের পার্লারের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। যদিও পুলিশের ধারনা সেই দাবি সঠিক নয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কারন হিসাবে বলা হয়েছে ওই ৫ জনের সঙ্গে দেহব্যবসার সরাসরি যোগ রয়েছে।