নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাকরিতে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের কি নিয়মে নিয়োগ করা উচিত, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। রাজ্য পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল হল ২০২২ সালের প্যানেল। ২০২১ সালের প্যানেল কার্যকর করার নির্দেশ। ফলে চাকরি হারাতে পারেন ১৩৭ জন পুলিশ কনস্টেবল। তবে শুন্যপদে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না।
২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী পরীক্ষার পর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। সেই তালিকা খারিজ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। যারা সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থী নয় তাদের জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে আলাদা তালিকা বানানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
সংরক্ষিত আসনে থাকা প্রার্থী যদি জেনারেল প্রার্থীর থেকে বেশি নম্বর পান তাহলে তাঁকে জেনারেল হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সেই নিয়মেই ২০২১ সালের প্যানেল প্রকাশিত হয়। মামলা করে জেনারেল আসনের পরীক্ষার্থীদের একাংশ। স্যাট ওই নিয়মকে মান্যতা দেয়নি। এরপর দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশিত হয়।
সংরক্ষিত তালিকায় নীচের দিকে থাকা পরীক্ষার্থীরা স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার এই মামলায় রায়দান করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সংরক্ষিত তালিকায় বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে জেনারেল হিসেবেই চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
দ্বিতীয় প্যানেল অনুযায়ী যারা চাকরি করছেন তাঁদের ১৩৭ জনের চাকরি চলে যেতে পারে। তবে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, তাঁদের চাকরি বাতিল না করে অন্যত্র কাজে যুক্ত করতে হবে। ২০০ শূন্যপদ রয়েছে এখনও। তাই ওই ১৩৭ জনের চাকরি পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।