নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়া(Howrah) শহরের মালিপাঁচঘড়া(Malipanchghora) থানা এলাকার ঘুসুড়ির ধর্মতলায় বিষ মদ খেয়ে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১৩জন। সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার সেখানে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Sdhikari)। কিন্তু সেই সভার অনুমতি দিল না মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ(Police)। এই সভা করতে না দেওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ১৩জন মানুষের মৃত্যুতে গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় এই ঘটনাকে তুলে ধরে এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলকেই কোনও সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সভা ওই এলাকায় করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিরোধী দলনেতা হাওড়া শহরের অন্যত্র এদিন সভা করতে পারবেন। যদিও বঙ্গ বিজেপির তরফে এটা এখনও জানানো হয়নি যে হাওড়া শহরের অন্যত্র তাঁরা আদৌ আজকের সভা করবেন কী করবেন না। করলেও কোথাও করবেন তাও জানানো হয়নি।
হাওড়ার বুকে এই বিষমদ কাণ্ডে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ১৩জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মৃতের সংখ্যা খুব কম করেও ৩০। কেননা গত সোমবার ওই মদের ঠেকে মদ খেতে এমন অনেকেই এসেছিলেন যাদের বাড়ি ওই এলাকায় না হলেও আশেপাশের এলাকায় তাঁদের বাড়ি। সেই সব জায়গা থেকেও তাঁরা মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। যদিও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে এই দাবি খণ্ডন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার তদন্তে নেমে এই মদের ঠেকের মালিক প্রতাপ কর্মকার ও তার ব্যবসা সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন প্রতাপ গ্লাস প্রতি ১০ টাকার যে মদ বিক্রি করেছিল তার নেশা বাড়ানোর জন্য মিথানল মিশিয়েছিল ওই ঠেকের কর্মী লক্ষ্মণ। অন্য দিন এই কাজ করত প্রতাপ। কিন্তু সোমবার সে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় সেই কাজ করেছিল লক্ষ্মণ। আর সেই মিথানল মেশানোর কাজে ভুল হওয়ার জেরেই এই মৃত্যুর মিছিল। পুলিশ অবশ্য ২জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে ও আদালতের নির্দেশে তারা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।