এই মুহূর্তে




ধর্মতলার অনশন গিয়ে চিঠি ধরালো পুলিশ, অনড় ডাক্তাররা

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ১১৫ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। এবার অসুস্থও হয়ে পড়তে শুরু করেছেন কলকাতার(Kolkata) ধর্মতলায়(Esplanade) অনশন শুরু করা ৭জন চিকিৎসক। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনে ৭জন জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন(7 Junior Doctor on Hunger Strike) শুরু করেছেন। এই ৭জন হলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা ও অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এস এস কে এম হাসপাতালের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কে পি সি মেডিকেল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য্য এবং আর জি কর মেডিকেল কলেজের অনিকেত মাহাতো। এদের মধ্যে এদিন অনিকেতেরই অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের তরফে। তার মাঝেই অনশন মঞ্চে এসে চিঠি ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছে পুলিশ। যদিও অনশন তুলে দিতে রাজী নন আন্দোলনকারীরা। এদিন সকালেই অবশ্য বেশ কিছু সিনিয়র চিকিৎসক তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই অনুরোধও রাখেননি জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন, আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা আর এন টেগোর হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের

তা কী বলেছে পুলিশ? এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে যান হেয়ার স্ট্রিট থানার(Hare Street Police Station) ওসি। তিনি অনশনকারী ৭ জুনিয়র চিকিৎসকের হাতে চিঠি ধরিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ। চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই ধর্মতলা ছেড়ে তাঁদের হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। চিঠির বয়ান এইরকম – ‘আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। জোর করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মঞ্চ বানিয়েছেন। আপনাদের সামনে যে বোর্ড রাখা হয়েছে, তা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার আমরা আপনাদের অনুরোধ করেছিলাম, কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য নিতে। কিন্তু আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করেছি, আপনাদের জন্য এক দল চিকিৎসক মোতায়েন করা হোক। আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন এবং চিকিৎসার সাহায্য গ্রহণ করুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন, আর জি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রক্তমাখা গ্লাভস, স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশে তদন্ত

এদিন বেলার দিকে আর জি কর হাসপাতালেরই(R G Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী সর্বপ্রথম জানান যে, অনিকেত মাহাতোর শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। সেই সময় তিনি এটাও জানান যে, অনিকেতকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। তাঁকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যদিও সেই ব্যবস্থা নিতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। এদিন পুলিশ অনশনকারীদের হাতে চিঠি ধরাবার পরে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের হাতে পুলিশ একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে গেল। তাতে বলা হয়েছে, আমরা অনুমতি ছাড়া মঞ্চে বসে আছি। আমাদের উঠে যেতে হবে। জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। এটা আমরা ভাল ভাবে দেখছি না। ওদের কোনও উদ্বেগ নেই।’ এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার জন্য অনুরোধ করছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। সেই সিনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ‘ওরা আমাদের সন্তানসম। পশ্চিমবঙ্গের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যে অনুরোধ করছেন, আমরাও সেই অনুরোধ নিয়ে এসেছি। ওদের দাবি যথার্থ। সেগুলি ছিনিয়ে আনতে হবে। কিন্তু জীবন বাজি রেখে নয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, ওদের দাবিগুলির প্রতি আরও উদার, মানবিক হোন।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেষারেষি কমাতে বেসরকারি বাসে কমিশন প্রথা তোলার প্রস্তাব রাজ্যের

অস্থায়ী কর্মবন্ধুদের জন্য সুখবর, এক ধাক্কায় বেতন বাড়ল ২ হাজার টাকা

কতগুলি ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে? রিপোর্ট চাইল নবান্ন

স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়াকড়ি! সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের

অতি চালাকি করতে গিয়ে ফাঁসলেন আইসি, সরানোর নির্দেশ বিচারপতির

জেলে গুরুতর অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, ভর্তি করানো হল হাসপাতালে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর