-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 9:48 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: কাল রাজ্যে দুদিনের সফরে প্রথমবার পা রাখছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।সোমবার বিকেলেই রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও(CM Mamata Banerjee)। মূলত তাঁর উদ্যোগেই এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে রাষ্ট্রপতি যাবেন এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসস্থানে।
সেখানে নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি। সেখান থেকে জোড়াসাঁকোয়(Jorasako) ঠাকুর বাড়িতে যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ঘুরে দেখবেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান । এর পর কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন রাষ্ট্রপতি। পর দিন ২৮ মার্চ সকালে তিনি বেলুড়মঠে যাবেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির পরবর্তী গন্তব্য স্থল থাকবে বীরভূমের শান্তিনিকেতন(Shantiniketan)।রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য ইতিমধ্যেই শহরের নিরাপত্তা রীতিমতো আঁটসাঁট করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই শহরে পুলিশি টলহদারি চলছে। জোরদার করা হয়েছে শহরের নিরাপত্তা।
কলকাতা সফর সেরে রাষ্ট্রপতির(President) যাওয়ার কথা শান্তিনিকেতনে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙা মাঠে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করবে। সেখান থেকে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দুপুরে আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরও।বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘২০২২ সালের উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে চলেছে বিশ্বভারতীতে। ২৮ মার্চ আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপস্থিত থাকবেন। এই প্রথম শান্তিনিকেতনের মাটিতে পা দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।’’
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা বোলপুর শহর কড়া নিরাপত্তা বলয় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দফায় দফায় বৈঠকও করেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকেরা। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘প্রোটোকল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য যা করণীয়, সবই প্রস্তুত। এ বারের সমাবর্তনে অন্যতম অতিথি দেশের রাষ্ট্রপতি। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক ভাবেই জোরদার করা হয়েছে শান্তিনিকেতনে।’’