নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রথমে পুরসভা, পরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার বিধানসভার উপনির্বাচনেও শোচনীয় হার বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বেলা যত বেড়েছে, ততই পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। একদিকে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন, অন্যদিকে প্রিয়ঙ্কার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ২০ শতাংশ। আর এরপরেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করা হারের মূল কারণ বলেই দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যে কারণে রবিবার সকাল থেকেই হেস্টিংস-এর বিজেপি দফতরে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভবানীপুর উপনির্বাচনের গণনা শেষে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে হারিয়েছেন। গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে ছিলেন মমতা। প্রিয়াঙ্কা যে কোনওভাবেই তাঁর মোকাবিলা করতে পারবে না, তা একপ্রকার টের পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। এদিন সকাল থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের মুখ অবশ্য দেখা যায়নি সংবাদমাধ্যমে। প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, ‘সব জায়গায় ছাপ্পা করেছে তৃণমূল’। যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে আমল দিচ্ছে না পদ্মশিবিরই। বরং এই লজ্জাজনক হারের জন্য তাঁকেই দায়ী করছেন অনেকে।
পেশায় আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালের পুরনির্বাচনে কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ে প্রচুর ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেখানেও তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে ৫৭ হাজারেরও বেশি ভোটে হার হয়েছিল তাঁর। এবারও লজ্জাজনক হার হল তাঁর। এদিকে বিজেপির হেস্টিংস ও মুরলীধর সেন লেনে কার্যালয়ে অনেক খুঁজেও পাওয়া গেল না কোনও নেতা-কর্মীকে। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কা হারবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল গেরুয়া শিবির। বরং এখন তাঁদের আশঙ্কা, এই পরাজয়ের পর এবার দলে ভাঙন আরও স্পষ্ট হবে। বিধায়কদের আটকে রাখাই সবচেয়ে বড় দায় হয়ে উঠতে পারে।