এই মুহূর্তে




প্রতিবাদ মিছিল নাকি সিপিএমের মিছিল, প্রশ্ন উঠল শহরেই

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আর জি কর কাণ্ড(R G Kar Incident) কার কিছু করে দেখাক বা না দেখাক না কেন, সিপিএমকে(CPIM) মৃত সঞ্জিবনী সুধা দিয়ে দিতে পেরেছে। গত ১৩ বছরে বাংলার(Bengal) রাজপথে যে সিপিএমকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না, সেই লালপার্টির ক্যাডার থেকে নেতানেত্রীরাই এখন আর জি কর কাণ্ডে ‘বিচার’ চেয়ে নিত্যদিন রাস্তায় মিছিল বার করছেন। এদিনও মিছিল বেড়িয়েছে কলকাতার(Kolkata) বুকে। কলেজ স্কোয়্যার থেকে সেই মিছিল গিয়েছে ধর্মতলায়। নাগরিক সমাজের নামে ডাকা সেই মিছিল নাকি ডাকা হয়েছে ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে। অথচ সেই মিছিলের হাবভাব প্রতি নিয়ত বলে দিচ্ছে, এ যেন রাজনীতির মিছিল, জমি দখলের মিছিল। আর তাই এই মিছিলের চেহারা দেখে শহর কলকাতাতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, এই মিছিল সত্যিই কী প্রতিবাদের মিছিল, নাকি সিপিএমের মিছিল। কেননা সিপিএমের চেনা মুখগুলিই তো ভিড় করেছে মিছিলে। সেখানে নাগরিক সমাজ কই! সবই তো পার্টির ক্যাডার থেকে সমর্থক, নেতা থেকে নেত্রী। এই মিছিল যে একান্তভাবেই সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার মিছিল সেটা আরও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন  স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, উষসী চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তীরা। 

আরও পড়ুন, ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, রাজ্যের বিল সমর্থন নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি

৩৪ বছর ধরে বাংলায় অত্যাচার আর অপশাসনের বুলডোজার চালানো সিপিএম ২০১১ সালে ক্ষমতা হারিয়েছিল জমি আন্দোলনের সুবাদে। তারপর থেকে বাংলায় যত নির্বাচন হয়েছে, সেখানে কোথাও সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানোর ছিঁটেফোঁটা ইঙ্গিতও মেলেনি। ২০১৬ সালে তাঁরা জোট বেঁধেছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ কিছু হয়নি। সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তো দুই দলই বাংলার বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা দখল করেছে বিজেপি। এখন আর জি কর ইস্যুকে আঁকড়ে ধরে মরিয়া হয়ে সিপিএম চাইছে বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে। তাঁরা ভেবেছে, এই একতা ইস্যুতে শহর গরম রাখতে পারলেই মানুষ ৩৪ বছরের সব ঘটনা ভুলে যাবে। মরিচঝাঁপি, সাঁইবাড়ি, বিজন সেতু, বানতলা, ধানতলা, ছোট আঙারিয়া, সূচপুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম – সব ভুলে যাবে বাংলার জনতা। সত্যিই কী বাংলার মানুষ, কলকাতার মানুষ এই সব কিছু ভুলে যাবে! উত্তর দেবে সময়।

আরও পড়ুন, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৩ মাসে কলকাতায় ফ্ল্যাটের দামবৃদ্ধি হয়েছে কম হারে

তবে এটা পরিষ্কার, ভোট রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বা তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) হারানো যাবে না বুঝেই এখন সিপিএম হোক বা বিজেপি, আর জি কর ইস্যুকে আঁকড়ে ধরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। লোকসভা নির্বাচনও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে সিপিএম আর কংগ্রেসের কী অবস্থা। বিজেপির পায়ের নীচে জমিতেও যে টান ধরেছে, সেই ছবিও স্পষ্ট হয়েছে। এখন জোরদার কোনও ইস্যু নিয়ে রাস্তায় থাকতে না পারলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে তৃণমূল ওয়াকওভার পেয়ে যাবে সেটা সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি, ৩ ভাইই বুঝে গিয়েছে। তাই ‘জগাই-মাধাই-গদাই’ নেমে পড়েছে রাস্তায়। প্রকাশ্যে না হলেও ৩ দলের নেতারা স্বীকার করছেন চার দেওয়ালের অন্দরে যে, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে নাগরিক আন্দোলনের স্রোতে ভেসে থাকা ছাড়া অন্য উপায় আপাতত নেই। ফলে কোনও দল চাইছে কৌশলে নাগরিক আন্দোলনে মিশে গিয়ে ভেসে থাকতে। কোনও দল আবার ধীরে ধীরে নাগরিক আন্দোলনে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে চাইছে। আবার সমান্তরাল ভাবে নাগরিক সমাজের মধ্য থেকেও স্বর হয়ে উঠতে চাইছে কোনও কোনও দল। বিরোধী দলগুলি চাইছে গণক্ষোভের ‘রাজনীতিকরণ’ ঘটিয়ে সরাসরি তৃণমূল বিরোধিতার আঙ্গিকে বিষয়টিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে কসরত করতে হচ্ছে প্রায় সব দলকেই। শুরু করেও অনেক সময়ে তা ধরে রাখতে পারছে না কেউ কেউ। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, এই সব কারণের জন্যই এই ক্ষোভ ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হবে না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘শর্ত’ না চাপিয়ে খোলা মনে আলোচনার ডাক মুখ্যসচিবের

ভিড় সামাল দিতে সময়সূচি বদল হাওড়া ময়দান- এসপ্ল্যানেড মেট্রোর

নিরাপত্তার স্বার্থে সন্দীপকে সরানো হল অন্য সেলে

আলোচনার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের নবান্নে ডাকলেন মুখ্যসচিব

আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, একাধিক শর্ত দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা

টানা ২০ মিনিট হাওড়ায় দাঁড়িয়ে মেট্রো, বিপাকে যাত্রীরা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর