সুস্মিতা ঘোষ: পুজো এসে গেল, আর বাকি নেই বেশিদিন। আমজনতা থেকে সেলিব্রিটি সবারই পুজোর প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। পুজোতে কে কোথায় থাকবেন, কোথায় খাওয়া-দাওয়া করবেন, শপিং কতদূর হয়েছে সবটাই আমাদের ‘এই মুহূর্তে’ নিউজ পোর্টাল হাউস আপনাদের সামনে তুলে ধরছে প্রতিদিন। তাই আমাদের সঙ্গে থাকুন প্রতিনিয়ত।
‘গা ছমছম কী হয় কী হয়, বিবি পায়রা পায়রা’ এই গানটি যেন বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে এখনও হিল্লোল তোলে। বাংলা সিনেমার অন্যতম ধামাকাদার গান হিসেবে আজও মানুষের কাছে নতুনের পরশ জাগায় এই গানটি। পুজো হোক বা বাড়ির কোনো অনুষ্ঠান এই গানটির সাবলীলতা আজও অটুট। কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের কন্ঠে এই গানটি সৃষ্টি হলেও, গানটিতে কিন্তু প্রাণ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী। বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী। এককালে যার সৌন্দর্য্য, পুরুষ হৃদয়ে হিল্লোল তোলার জন্যে যথেষ্ট ছিল। দেবীবরণ চলচ্চিত্রের একটি জনপ্রিয় গান ‘গা ছমছম কী হয় কী হয়, বিবি পায়রা পায়রা’ গানটিতে অসাধারণ নাচের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন পাপিয়া অধিকারী। যার তীক্ষ্ণ অভিনয় দক্ষতা আজও মানুষের স্মৃতিতে অটুট। বাংলা চলচ্চিত্র জগত থেকে বিদায় নিলেও এখনও অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর অটুট যোগাযোগ। প্রসেনজিৎ, তাপস পাল একাধিক বাংলার সুপারস্টারদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এখন বড় পর্দায় না দেখা গেলেও ছোটো পর্দার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে অতিথি হিসেবে যোগদান দিতে দেখা যায়। হ্যাঁ, আজ আমরা পুজোর পরিকল্পনা জানতে চলে গিয়েছিলাম বিশিষ্ট অভিনেত্রী পাপিয়া দেবীর ফোন কলে। তাঁর সঙ্গে ফোনালাপেই জেনে নিলাম ২ বছর করোনার মরসুম কাটিয়ে এইবছর তাঁর পুজোর পরিকল্পনাগুলি কী কী! চলুন আস্তে আস্তে জেনে নেওয়া যাক!
প্রথমত দু বছর করোনা মরসুম কাটিয়ে ফিরছে বাংলা, তাই সুস্থ বাংলায় এই বছরের দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে আপনার পরিকল্পনা কী কী?
“সপ্তম-অষ্টমীতে আমি এই বছর হ্যাংলা হেঁসেলের সঙ্গে পুজো পরিক্রমাতে অংশগ্রহণ করছি সকালে। আর বাকি দিনগুলি কাটাবো পরিবারের সঙ্গে। আমার মেয়ে দক্ষিণ ভারতে থাকে। পুজো উপলক্ষে আমার কাছে এসেছে, বড় মেয়েও আছে আমার কাছে। সুতরাং পুজোতে পুরোটাই পরিবারের সঙ্গে হৈ হুল্লোড়ে কাটাবো। এছাড়া আমাদের আবাসনে যাব, পূজোতে অংশগ্রহণ করব। এছাড়া কিছু কিছু ঠাকুর প্যান্ডেলে গেস্ট হিসেবে যেতে হবে। এটুকুই পরিকল্পনা।”
ছোটবেলার কিছু দুর্গাপুজোর স্মৃতি
“ছোটবেলা হইহই করে কাটত। বেশিরভাগ সময়ে ভবানীপুরের মামা বাড়িতেই থাকতাম। আর বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গায় যেতাম দুর্গা পুজো বিসর্জন দেখতে।”
পুজোতে শাড়ীতে সাজবেন
“পুজোর সময়ে কেনাকাটি তেমন করিনা। ওই আগে যেমন ব্লাউজ বানানোর একটা মাথাব্যাথা ছিল, এখন আর তা নেই। মেয়ের দেখানো দোকানে রেডিমেড ব্লাউজই কিনে নি। তবে হ্যাঁ, পুজোর দিনগুলিতে শাড়িই মাস্ট।”
অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়া হয়
“হ্যাঁ, অঞ্জলি দিই। এছাড়া আমি মহলয়ার দিন থেকে নবরাত্রি পালন করি।”
খাওয়া-দাওয়ার কী পরিকল্পনা
“আমি যেহেতু নবরাত্রি পালন করি তাই এই কটাদিন আমি নিরামিষই খাই। এবং রান্নাও করি নিজের হাতে। তবে সপ্তমী অষ্টমী বাইরে আবাসনগুলিতে খিচুড়ি ভোগ খাই।”
যখন অভিনয়ের সঙ্গে Regular যোগাযোগ ছিল তখন পুজোটা কি ভাবে কাটত
“না পুজোর দিনগুলিতে আমার কোনো সিনেমার শ্যুটিং থাকতো না। তবে আমি যখন যাত্রা করতাম তখন নবমীর দিন বেরিয়ে যেতে হত।”
বর্তমানে ডায়েট ট্রেন্ডিং-এর বিষয়ে কী বলবেন?
“না আমি অতটা কিছু মানি না। আমি সপ্তাহে একদিন আমিষ খাই। আমাদের বাড়িতে এখনো কাঁসার থালায় খাওয়ার ট্রেন্ডিং রয়েছে। তবে আমি ডায়েট খুব একটা করিনা।”
করোনার কাটিয়ে তবে পুরোদমে এবার পুজোর আনন্দ উপভোগ করবেন?
“না দু বছরেও আমি আনন্দ করেছি। নবরাত্রি করেছি। বাইরেও গিয়েছি। তবে হিউম্যান রাইটসের সবার সঙ্গে বাঁকুড়া বীরভূম গিয়েছি। জার্জ হিসেবে।”