নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে ৫০ লাখ বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জল (Purified Drinking Water)। শনিবার ট্যুইট করে এই সংবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই বাংলার ৫০ লাখ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দিল।
শনিবার রাজবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ট্যুইটারে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সবসময় জনগণের সেবায় ও বাংলার মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করার কাজে নিবেদিত। বাংলার ৫০ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ পরিবারে বিশুদ্ধ কলের জল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে আমাদের সরকার, এই ঘোষণা করতে পেরে আমি আল্পুত।’
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, গ্রামীণ পরিবারগুলিতে নল বাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫০ লাখ বাড়ির সীমা ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে। যে বাড়িগুলিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উল্লেখযোগ্য। নদিয়া জেলার গ্রামগুলিতে ৫০ শতাংশেরও বেশি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পরিষেবা। বাকি জেলাগুলিতে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি দফতরের। ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের ৬০ লাখ বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, শীর্ষ মহলের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়ে যাবে। বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ রাজ্য এখন শীর্ষস্থানে রয়েছে। শুধু জলের সংযোগ বাড়ানো নয়, জলের মানোন্নয়নের দিকেও সজাগ দৃষ্টি রয়েছে রাজ্য সরকারের। বাংলায় ২২০টি জল পরীক্ষাগার গড়ে তোলা হয়েছে। যার মধ্যে এনএবিএল অনুমোদিতে পরীক্ষাগারের সংখ্যাটা ১৪৪। যা ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ।