এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শুভেন্দুর সিএএ ডেটলাইন নিয়ে প্রশ্ন বঙ্গ বিজেপিতেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর শেষের দিনে আরও একটা ডেটলাইন দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। শনিবার নদিয়া(Nadia) জেলার রানাঘাটে(Ranaghat) মতুয়া সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি সেই ডেটলাইন দিয়েছেন। তবে এই ডেটলাইন বাংলার সরকার ফেলে দেওয়ার বা জার্সি বদলের নয়। এই ডেটলাইন বাংলার বুকে সিএএ বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্ট(CAA) লাগু হওয়ার সময়সীমা। কিন্তু শুভেন্দুর এই ডেটলাইন নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) অন্দরেই। কেননা গতকালই শেষ হয়ে গিয়েছে এই আইন লাগুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনান্য আইন তৈরির সপ্তমদফার বর্ধিত সময়সীমা। যদিও ধরেই নেওয়া হচ্ছে মোদি সরকার এবার অষ্টম দফার সময়সীমা বৃদ্ধির জন্যও সংসদের উভয়কক্ষেই আবেদন জানাবে আর তা গৃহিতও হবে। কিন্তু তারপরেও এই আইন লাগু করা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপির মধ্যেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর ডেডলাইন আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের মুখ পোড়াবে বলেই এখন মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির শুভেন্দু বিরোধী নেতারা।

আরও পড়ুন Happy Birthday TMC, ফেসবুকে শুভেচ্ছা বার্তা অগ্নিকন্যার

ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? গতকাল রানাঘাটে মতুয়া সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি জানান, ‘এ রাজ্যে সিএএ লাগু হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। লোকসভা ভোট পার হবে না, তরা আগেই বাংলায় লাগু হয়ে যাবে সিএএ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় সিএএ কার্যকর নিয়ে যতই বাধা দিন না কেন, বাংলার বুকে নাগরিকত্ব কার্যকর হবেই। তা কেউ রুখতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যা বলেন, তা করে দেখান। তাঁরা কথা দিয়েছেন, সিএএ লাগু হবে, তো হবেই। ২০২৪ সালের ভোটের মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। আর এই আইন লাগু হলে মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজকে আর পুরনো দলিলের জন্য হয়রান হতে হবে না।’ অনেকেই কিন্তু মনে করছেন শুভেন্দুর এই দাবি কার্যত মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখার স্বার্থে। কেননা উনিশের মতো একুশে মতুয়া ভোট একচাট্টা ভাবে বিজেপি পায়নি। বরঞ্চ মতুয়া ভোট দিকে দিকে ফের তৃণমূলে ফিরে আসার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। সেই রকম হলে বনগাঁ, রানাঘাট, উত্তর মালদার মতো লোকসভা কেন্দ্রের ২০২৪ সালে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপি।

আরও পড়ুন লক্ষ্যপূরণ করে আবাস শীর্ষে বাংলা, প্রশ্নে স্বচ্ছতা

ঠিক কী অবস্থায় আছে সিএএ বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্ট? কার্যত বিশ বাঁও জলে। এক কথায় বললে এটাই বলতে হয়। এই আইন কার্যকর করতে সহায়ক আরও বেশ কিছু আইনের প্রয়োজন আছে। ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া সিএএ লাগু করতে এখনও সেই সহায়ক রুলই তৈরি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মোদি সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে সিএএ। কিন্তু সেই মাস পড়তে না পড়তে সামনে আসে অবাক করা তথ্য— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তখনও রুল তৈরি করতে পারেনি। সেই থেকে সব মিলিয়ে সাতবার ওই কাজের জন্য সংসদের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিল কেন্দ্র। সাতবারই লোকসভা এবং রাজ্যসভা তার অনুমতি দিয়েছে। শেষবার, গত অক্টোবর মাসে রুল তৈরির জন্য আরও তিনমাস সময় দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যসভার দেওয়া সেই মেয়াদ শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয়ে গেল। লোকসভার পক্ষ থেকে প্রদান করা সময়সীমা অবশ্য শেষ হবে আগামী ৯ জানুয়ারি। কিন্তু এবারও যে রুল তৈরি করা যাবে না তা বলাই বাহুল্য। এবার অষ্টমবারের জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার কাছে এই কাজের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অতিরিক্ত সময় চাইবে। সেটা দেওয়াও হবে। কিন্তু তারপরও এই আইন লাগু হবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

আচমকাই জেগে উঠল গুরু প্রেম, প্রয়াত অজিত পাঁজার বাড়িতে হাজির ‘দলবদলু’ তাপস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর