এই মুহূর্তে

বিজেপি ছাড়লেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বাবুল

নিজস্ব প্রতিনিধি: এমনটা চট করে দেখা যায় না। দল ছাড়লে, মন্ত্রীত্ব ছাড়লে তাঁর নিরাপত্তাও কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয়র ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটছে। অন্তত তেমনটাই দাবি অমিত শাহের মন্ত্রকের। যার জেরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে, বাবুলের প্রত্যাবর্তনে এখনও আশাবাদী কেন্দ্রের শাসক দল, মানে বিজেপি। হয়তো সেই কারনেই এখনও বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রের হিসাবে রয়ে গিয়েছেন ওয়াই ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। যদিও বাস্তব কিছু ভিন্ন কথাই বলছে। কেননা বাবুলের আশেপাশে এই নিরাপত্তা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি বাবুল নিজেও জানিয়েছেন, তিনি কোনও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন না।

বাবুল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের দুই দফার সাংসদ। হয়েছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রীও, সেটাও দুই বার। তবে পূর্ণ মন্ত্রী তাঁকে করা হয়নি। দুইবারই তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সেই হিসাবে তিনি পেতেন ওয়াই ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছ’-সাত জন কমান্ডো। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দুই মাসের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বাবুলকে। কার্যত সেই সময় থেকেই বাবুল ও বিজেপির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। বাবুলের দাবি, জুলাই মাসে মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব সেই সময় দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ-কে। বাবুলের দাবি, তিনি মন্ত্রীত্ব ছাড়া আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার আর্জি জানাবার পর সিআইএসএফ-ও তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। তিনি এদিনও জানিয়েছেন, কেন্দ্রে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরে পরেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছিলেন।

কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করেছে, বাবুলকে আগের মতোই ওয়াই ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে। যদিও বাবুলের আশেপাশে এখন সেই রকম কিছুই দেখা যায় না। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল। তার দু’দিন পরে নিজেই গাড়ি চালিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সে সময় বাবুল জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। সে কারণে একাই গাড়ি চালিয়ে নবান্নে এসেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ নেই। আগামী দিনেও তিনি এ ভাবেই পথ চলবেন। কার্যত সেই সময় থেকেই রাজ্য পুলিশই বাবুলের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে। কিন্তু এখন অমিত শাহের মন্ত্রকের দাবি, এখনও বাবুলের নিরাপত্তা দেখাভাল করেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ-এর ছ’-সাত জন কমান্ডো। যদিও বাবুল পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতো সিআইএসএফ। কোনওদিনই তাঁর নিরাপত্তায় সিআরপিএফের জওয়ান বা কমান্ডোরা থাকতেন না। তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে, বাবুলের যদি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা থেকেই থাকে তাহলে তাঁদের দেখা মেলে না কেন? আর কেনই বা তা বাবুলকে জানানো হয়নি!

যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোদি সরকার বাবুলের ওয়াই ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তা এখনও খাতায় কলমে হয়েই রয়ে গিয়েছে। বাস্তবে সে সব কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশা বাবুল আজ না হোক কাল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতেই ফিরে আসবেন বা আসতে বাধ্য হবেন। কেননা তাঁদের মতে তৃণমূলে বাবুলের কোনও ভবিষ্যত নেই। তাঁকে না করা হয়েছে মন্ত্রী, না মেয়র, না বিধায়ক, না সাংসদ। সেই হিসাবে বাবুল এখন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বা সাংসদ ভিন্ন আর কিছুই নন। এভাবে ‘জিরো পাওয়ার পার্সেন’ হয়ে বাবুল বেশিদিন তৃণমূলে থাকতে পারবেন না। আর সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই বাবুলের নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে চলেছে মোদি সরকার, থুড়ি অমিত শাহের মন্ত্রক।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

‘বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে উপহাস করছে’, তৃণমূলের আক্রমণে অস্বস্তিতে বিজেপি

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর