নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাত (Rain Fall) মহানগরীতে (Kolkata)। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আকাশে জমেছে কালো মেঘ। বৃষ্টিপাত ক্রমশ ভারী হচ্ছে। তবে খবর লেখা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সতর্ক রয়েছেন পুরনিগমের কর্মীরা। অশনি প্রভাব মোকাবিলা করতে তৎপর প্রশাসন।
রবিবার ২৫ বৈশাখের সকাল থেকেই কলকাতায় বৃষ্টিপাত বেড়েছে ক্রমশ। সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তারপর তা ক্রমশ ভারী বৃষ্টিপাতের রূপ নেয়। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে বজ্রপাত। একাধিক জায়গায় জমেছে জল। উল্লেখ্য, জারি রয়েছে অশনি (Ashani) সংকেত। ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ এগিয়ে আসছে পূর্ব উপকূলের দিকে। তবে পূর্ব উপকূলের ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়নি। তবে তৎপর কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে রয়েছে অশনি। তা ক্রমশ ধেয়ে যাবে ওড়িশা উপকূলের দিকে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১০ থেকে ১২ মে বা ঘূর্ণাবর্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে সমস্ত পুরনিগমের কর্মীদের ছুটি। জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, সিভিল সহ গুরুত্বপূর্ণ ও সংশ্লিষ্ট এবং প্রয়োজনীয় বিভাগকে। রবিবার মানে আজ থেকেই রাজ্যে দেখা যাবে বিক্ষুপ্ত বৃষ্টিপাত। বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের উপকূলগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। উপকূলবর্তী এলাকা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
জোয়ার ও ভাটার সময় ড্যাম্পের গেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরনিগমের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার। সূত্রের খবর ডিজি পার্ক ও ডিজি সিভিলকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে, বরোগুলিতে পাম্প প্রস্তুত করে রাখতে। তাণ্ডব মোকাবিলা করতে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও প্রস্তুত। গাছ, স্ট্রিট লাইট, তার সর্বত্রই নজর রয়েছে পুরসভা নিগমের। পুরনিগমের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার।