নিজস্ব প্রতিনিধি: ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দেওয়ায় মুখ খুললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিন্দা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির ভাষায় আক্রমণের। তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘খালা’ , ‘বেগম’ বলে কটুক্তি অত্যন্ত অশোভন এবং নিন্দনীয়। এই সব মন্তব্য এবং বক্রোক্তি বঙ্গ রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী। যাঁকে দেখে, যার মুখ দেখে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসন দিয়েছে, তাকে ‘খালা’ , ‘বেগম’ বলা শোভনীয় নয়।
রাজীবের এই মন্তব্যের লক্ষ্য রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক একবারের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ করেননি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেন প্রাক্তন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নানা ইস্যুতে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোকে কার্যত বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন। কখনও শোনা গিয়েছে বেগম সম্বোধন করে বলতে, কখনও ম্যাডাম। ম্যাডাম শব্দ নিয়ে তেমন আপত্তি না উঠলেও বেগম বলে সম্বোধন করায় নানা প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মনে করা হচ্ছে, সেই সব মন্তব্যের এদিন জবাব দিলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক।
এখানেই শেষ নয়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী না দিলে ভালোই করত। তাঁর মতে, প্রার্থী না দিলে সেটি বিজেপির ক্ষেত্রে গুড জেশ্চার হত। বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, উনি দল পরিবর্তন করেছেন ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অনেকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে বিজেপির সাথে একটা খারাপ সংযোগ চলছিল।
রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী কথা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। কিন্তু ভোটে বিপুল ভোটে হারতে হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি ফের তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে নেমপ্লেট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।