নিজস্ব প্রতিনিধি: শোভনের ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে জিতেছেন বেহালা পূর্বে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেই শোভনের জেতা ওয়ার্ডেই প্রার্থী স্ত্রী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজের স্বামীর ওয়ার্ডে কতটা কাজ করেছেন কাউন্সিলর শোভন? রত্না জানিয়েছেন, ‘কাউন্সিলর হিসেবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ১০-এ ১০ দেব। কারণ কাজের সময় কাজ করেছেন। যখন অকাজ করেছে কাজ করেননি। রসে বসে থেকেছেন। বিধানসভায় জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছি। কিন্তু, বিধানসভা এবং পুরনির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা। বেহালা পূর্বে আমি লড়াই করেছিলাম। কিন্তু, মানুষ ভোট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গত ৪ বছর ধরে আমাকে সামনে থেকে দেখেছেন। মানুষ জানেন আমাকে পাশে পাওয়া যায়।’
শোভনের জেতা ওয়ার্ডে জয় নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়? উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই বছর অত্যন্ত খারাপভাবে বর্ষা হয়েছিল। আর সেই জন্য নিকাশির সমস্যা সামান্য রয়েছে। কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলে সেই সমস্যার সমাধান করবেন। তবে ওয়ার্ডে বড় কোনও সমস্যা এই মুহূর্তে আমার মূল ‘ফোকাস’ পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা।’ শোভনের সম্পর্কে গত রবিবার সন্ধ্যায় রত্না দেবী জানিয়েছিলেন, ‘শোভন প্রচণ্ড সত্যি কথা বলতেন। এর আগে ওঁর কোনও গার্লফ্রেন্ড ছিল না সেই কথা বলব না। কিন্তু, ওঁর জীবনে পরিবারের একটা আলাদা জায়গা ছিল।’
আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট, আর তার আগেই নিজের ওয়ার্ড নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। ১৪৪ আসনের মধ্যে পুরভোটের হেভিওয়েট কেন্দ্র হল বেহালা পূর্বের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড। তাই সকলের নজর থাকবে সেই আসনের দিকেই।