নিজস্ব প্রতিনিধি: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (ARPITA MUKHERJEE) ২ টি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল আগেই। এবার ইডি উদ্ধার করল আরও ৮ কোটি। মানে টাকার অঙ্ক বেড়ে ৫৮ কোটি। জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে এই টাকা।
পার্থ চট্টপাধ্যায় (PARTHA CHATTERJEE) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা পাওয়া গিয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজড করা হয়েছিল আগেই। রবিবার, প্রকাশ্যে আসে আরও ৮ কোটি টাকা নতুন ভাবে উদ্ধার হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, আদালতে ইডির দাবি মোট ১২০ কোটি টাকা আছে।
রবিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। হাসপাতালে ঢোকার আগে পার্থ দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া কোনও টাকা তাঁর না। বলেন, কার ষড়যন্ত্রে এসব হচ্ছে তা সময় এলেই বোঝা যাবে।
উল্লেখ্য, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে এর আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল , ৭৬ লক্ষ টাকার গয়না, ১ টি কালো ডায়েরি সহ আরও ২ টি ডায়েরি, ১৮ টি মোবাইল, ১২ ভুয়ো সংস্থার হদিশ, যার মধ্যে ৬ টিতে অর্পিতার ঘনিষ্ঠ জন, ৩ টির মালিক অর্পিতা নিজেই। উদ্ধার হয়েছে ফ্ল্যাট সহ জমির একাধিক নথি। এই তালিকায় আছে হাজার ডলার, ৬ কেজি সোনা ও শিক্ষা দফতরের খাম বন্দি ৫ লক্ষ টাকা, হার্ড ডিস্ক। প্রকাশ্যে এসেছে এবং বিভিন্ন জনগণের দাবি অনুসারে তাঁদের রয়েছে, একাধিক বাগানবাড়ি ও বাড়ি। আবার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এসএসসি টেটের সংশোধিত তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই তালিকা ২০১২ সালের। দাবি, মিলেছে অর্পিতার বাড়ির ৭ টি সম্পত্তির দলিল ও ৩০৪ পাতার নথি।
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় না কি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, না কি যৌথ বাগানবাড়ি বারুইপুরের ‘বিশ্রাম’, তা জানা যায়নি। গত বুধবার রাতে সেখানে হানা দিয়েছিল ‘চোর’-এর দল। তারপর ফের টালিগঞ্জের ‘ডায়মণ্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা! উধাও ৪ টি বিলাস বহুল গাড়ি। দাম প্রায় দেড় কোটি।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে ইডি সংগ্রহ করেছে টাকা লেনদেনের হিসেব। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে কী ভাবে ওই সব অ্যাকাউন্টে এসেছিল টাকা। দেখা হচ্ছে কোথায় কোথায় গিয়েছিল টাকা।