নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘রাতের দখল’ কর্মসূচির নামে বুধবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এক মহা তামাশার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই মহা তামাশায় ইন্ধন জুগিয়েছিল বিজেপি ও সিপিএমপন্থী একাধিক সংবাদমাধ্যম।  ‘রাতের দখল’ এর আড়ালে রাজ্যে অরাজকতা তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে পইপই করে কোনও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছিল নবান্নের শীর্ষ মহল। আর সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই আরজি করে রাতের ভাঙচুর রোখার ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপের পথে যায়নি কলকাতা পুলিশের কর্মী-আধিকারিকরা। নিজেরা মার খেয়েও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে।

কেন বুধবার রাতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিল না সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি, সিপিএম সহ তৃণমূলের ঘোষিত শত্রুরা। মায়াকান্না শুরু করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী সংবাদমাধ্যমগুলিও। একই প্রশ্ন তুলে এদিন আরজি করের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘেরাও করে রেখেছিল সিপিএম ও বিজেপিপন্থী বেশ কয়েকজন নার্স। তাদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল বিরোধী পড়ুয়ারাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সুপরিকল্পিতভাবে একই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

কিন্তু কেন বুধবার রাতে ‘রাতের দখল’ কর্মসূচির মধ্যেই দুষ্কৃতীদের হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল না পুলিশ? বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে অরাজকতা তৈরির উদ্দেশেই হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশকে চরম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্ররোচিত করার উদ্দেশেই ওই হামলা চলেছিল। লাঠি চালালে সরকার বিরোধী সংবাদমাধ্যম প্রচার শুরু করে দিত, আন্দোলনকে  দমাতে নিপীড়নের রাস্তা নিয়েছে তৃণমূল সরকার। আর গুলি চালালে দু-একজনের আহত বা নিহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আর ওই লাশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি জানিয়ে রাজপথ উত্তাল করার সুযোগ হাতে পেতেন ষড়যন্ত্রকারীরা। তারা সেটাই চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের প্ররোচনায় পা দেয়নি পুলিশ-র‍্যাফ। ডিসি আক্রান্ত হওয়া সত্বেও সংযত ছিল নিচুতলার কর্মীরা। ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাওয়ায় পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।’