নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাক ঢাক গুরগুর ছিলই, ‘সাময়িক বরখাস্ত’র পর বিস্ফোরক জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে গোড়া থেকেই আক্রমণের মূলে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। নাম না করলেও বারবার পদের দিকে আঙুল তুলে কটাক্ষ করেছেন জয়প্রকাশ ও রীতেশ তিওয়ারি। তাঁরা বলেছেন, ‘সাধারণ সম্পাদকের অভিজ্ঞতা ২ বছর। বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করেছেন। বাইরে থেকে নেতা এনে বঙ্গ বিজেপির আদি নেতাদের গুরুত্বহীন করা হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এটাই করা হয়েছিল। মধুভোগ করার জন্য পার্টিতে এসেছে, যাদের জনসমাজে অবদান নেই তারাই বিজেপি চালাচ্ছে। সুবিধাবাদীরাই বিজেপির মাথা। বর্তমানে দেখছি এবিভিপি যারা করেছে তারাই রাজ্য বিজেপির সর্বের সর্বা।’
সাংবাদিক সম্মেলনে জয়প্রকাশ মজুমদার এও বলেন, ‘ভোটের হারের পর পর্যালোচনা হয় নি রাজ্য বিজেপিতে। দিল্লির নেতারা বললেন দিলীপ ঘোষ ছাড়াই বাংলা দখল করব। যারা বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তাদের ছাঁটা হল, দিল্লির নেতারা নিজেদের মত করে এগোতে থাকল। অন্য দল থেকে যোগদান করানো হল। মুকুলের দলত্যাগ নিয়ে রাজ্য বিজেপির কেউ সাংবাদিকদের মুখামুখো হয় নি। দিনটা ছিল ১১ জুন আমিই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলাম। একুশের ভোটের হারের পর আমিই সাংবাদিক সম্মেলন করি। রাজ্য সভাপতি এসেই জেলা সভাপতি নির্বাচন করলেন। ৪২ টি সাংগাঠনিক জেলার মধ্যে ৩২ টির নেতাকে এলাকার লোক বা জেলার মানুষেরা চেনে না। দিলীপ দাকে বললাম একি হচ্ছে উনিও সদুত্তর দিতে পারলেন না। এর দায় কে নেবে? রাজ্যে বিজেপি-কে দুর্বল করার চেষ্টা দলেরই একাংশের, আগেই দিল্লিকে জানিয়েছি।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘বাংলায় বিজেপি কর্মীরা ভালো নেই। পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি সব। কিছু নেতা সম্পূর্ণ ভুল বুঝিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করেন৷ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বাদ দিয়ে কিছু নেতা দলকে পরিচালনা করার চেষ্টা করেন। কাচের ঘরে বসে রাজনীতি করছেন শীর্ষ নেতারা। হারের পর দলে কোনও রকম পর্যালোচনা হয়নি। এখানে মুখ খোলা যায় না। নিজেদের অভিজ্ঞতা-দুর্বলতা ঢাকতে কেউ কিছু বললেই তাঁদের চুপ করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন সভাপতি এসে বেশ কিছু কমিটি গড়েছেন। কিন্তু তাতে সবই নিজের লোক বসানো।’