এই মুহূর্তে

বিধানসভায় রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন জমা দিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার বিধানসভায় রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন জমা দিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ সহ অন্যান্যরা।আরজি কর-কাণ্ডের জেরে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। সেই আসন এতদিন ফাঁকা ছিল। তবে সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহরের। এবার সংসদের উচ্চকক্ষে সেই শূণ্য আসনের জন্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। শনিবার সমাজ মাধ্যমে তৃণমূলের তরফে এমনটা ঘোষণা করা হয়। রাজ্যসভার উপনির্বাচন আসন্ন, তাই উপনির্বাচনের প্রাক্কালেই শূন্য সাংসদ আসনের জন্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের তরফ থেকে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হল। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আশা করব, তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকারির পদ বহন করবে। প্রত্যেক ভারতীয়ের অধিকারের কথা বলবেন।’ পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমাজমাধ্যমে ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘ঋতব্রত, আপনি এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। যিনি রাজ্য জুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন। একটু সময় লাগলেও তিনি তাঁর পরিশ্রমের দাম পাচ্ছেন।’ প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনার আবহে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়েন জহর সরকার। পাশাপাশি তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি চিঠি লিখে জানান, গত একবছর ধরে তিনি আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে জনসাধারণের লাগাতার প্রতিবাদ দেখছেন। ভেবেছিলেন পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনিও প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াবেন। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প। আর এমনি চিঠি দিয়েই তিনি পদত্যাগ করেন। অথচ সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহরের। আর তখন জনরোষের আবহে জহরের চিঠি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সেই থেকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের পদটি শূন্য ছিল। এবার সেই আসনের জন্যে ঋতব্রতকে প্রার্থী করল তৃণমূল। ঋতব্রত একসময়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতা থেকে SFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভাতেও পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু এর পর কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য ২০১৭ সালে তাঁকে সিপিএম দল থেকে বহিষ্কার করে। বেশ কিছু সময় দলহীন রাজনীতির পর তিনি অবশেষে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১ সালের ভোটের পর শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি করা হয় ঋতব্রতকে। সেই কাজই এতদিন সামলাচ্ছিলেন তিনি। এবার তাঁর কাঁধে নতুন দায়িত্ব আসতে চলেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ওয়ার্ডের বাইরে জড়ো ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’, নিষিদ্ধ স্যালাইন বাতিলের কাজ শুরু এসএসকেএমে

নব নালন্দা স্কুলে কাচ ভেঙে আহত পড়ুয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে মঙ্গলেই বৈঠকে কর্তৃপক্ষ

বিয়ের মরসুম শুরুর মুখে ৮১ হাজার ছুঁইছুঁই সোনা, আমজনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ

‘বিষাক্ত’ স্যালাইন-কাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে, দায়ের জনস্বার্থ মামলা

সাত সকালে নব নালন্দা স্কুলে কাচ ভেঙে আহত তিন পড়ুয়া, বিক্ষোভ অভিভাবকদের

ধেয়ে আসছে বড় দুর্যোগ, একাধিক রাজ্যে ঝড়ো হাওয়া, তুষারপাত ও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর