এই মুহূর্তে

বঙ্গে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী, মানছেন সঙ্ঘ নেতারাও

নিজস্ব প্রতিনিধি: কৈলাস বিদায় নিয়েছেন, বনসল এসেছেন। কিন্তু তাতে যে বঙ্গ(Bengal) বিজেপির ভাগ্যে কোনও বদল ঘটছে না সেটা সামনে নিয়ে চলে এসেছে এক সমীক্ষা। বাংলায় দলের ক্ষমতাসীন নেতারা এই সমীক্ষার রিপোর্টকে ‘অবাস্তব ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেও দলের বেশির ভাগ নেতাই এই সমীক্ষাকেই বাংলায় দলের বাস্তব চিত্র বলে মেনে নিচ্ছেন। এই সমীক্ষা হেলায় উড়িয়ে দিচ্ছে না বাংলার আরএসএস(RSS) তথা সঙ্ঘের নেতারাও। কেননা এই সমীক্ষায় যে সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্ঘ নেতৃত্বও মোটামুটি একমত। কৈলাস বিদায় ও বনসল আগমনে যে বাংলার বুকে বিজেপির উদয় যে চট করে হচ্ছে না বরঞ্চ বিপর্যয়ই ধেয়ে আসছে সেটা নিয়ে একমত সঙ্ঘের নেতারাও। কী এই সমীক্ষা? এই সমীক্ষা কোনও বেসরকারি সংস্থা করায়নি। করিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। তাই এই রিপোর্টকে বাস্তব ছবি বলে মানতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতারা। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে সঙ্ঘ ও বিজেপির বেশির ভাগ নেতা এই রিপোর্টকে হেলায় উড়িয়েও দিতে পারছেন না।  

কী আছে তৃণমূলের সমীক্ষায়? বাংলার শাসকদলের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে(General Election) বিজেপি(BJP) মাত্র ৪টি আসন পেতে পারে। বাকি সবই যাবে তৃণমূলের দখলে। যে ৪টি আসন বিজেপির পক্ষে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে সেগুলি হল আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, রানাঘাট এবং পুরুলিয়া লোকসভা। যদিও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে এই ছবিও বদলে যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন। কেননা পাহাড়ের পরিস্থিতি যেমন বদলাচ্ছে দ্রুত তেমনি বদলাচ্ছে মতুয়া মহলের মনোভাব যা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। সবর্ত্রই বিজেপি বিরোধী মনোভাব মাথাচাড়া দিচ্ছে। তা সে পুরুলিয়া হোক কী আলিপুরদুয়ারে। তাই ২০১৯ সালে বাংলায় যে ১৮টি আসন বিজেপি জিতেছিল তার কোনওটিই আর তাঁদের জন্য নিরাপদ নয়। উল্লেখ্য ওই ১৮টি আসনের মধ্যে আসানসোল যেমন তৃণমূল উপনির্বাচনের মাধ্যমে দল করেছে তেমনি ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং নিজেই চলে এসেছেন তৃণমূলে। অন্যদিকে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপির দিকে ঢলে পড়লেও ২০২৪ এর নির্বাচনে তাঁদের ফের জিতা আসা কঠিন।

অর্থাৎ বাংলায় ২০২৪ এর নির্বাচনে তৃণমূল একাই ৪২টি আসন দখল করে বসে থাকলে খুব একটা অবাক হওয়ার মতো কিছু হবে না বলে এখন মনে করছেন খোদ সঙ্ঘের নেতারাই। সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনটা যে হতে পারে সেটা নাকি তাঁরা মোদি-শাহকে জানিয়েও দিয়েছেন। তাঁরা এমনটাও জানিয়েছেন, বাংলায় দলের সংগঠন ক্লাব স্তরের সংগঠনের থেকেও নীচে নেমে গিয়েছে। দলের রাজ্য নেতারা কলকাতার মধ্যেই আবদ্ধ। মিডিয়া আর আদালতের বাইরে তাঁদের দেখা যায় না। হাতে অতিবড় ইস্যু পেলেও তাঁরা শাসক দলের বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলনও না গড়ে তুলতে পারে না তা ছড়িয়ে দিতে পারে। ক্রমশই মানুষ থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে গোটা দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম বা কংগ্রেস প্রার্থী দিতে সক্ষম হলেও বিজেপি আদৌ প্রার্থী খুঁজে পাবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে সঙ্ঘ নেতাদের। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের নির্বাচনেই তৃণমূল ’৪২ এ ৪২’ শ্লোগান তুলেছিল। যদিও বাস্তবে ২২ এর বেশি আসন তখন পায়নি জোড়াফুল। এবারে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের শ্লোগান না দেওয়ারই সম্ভাবনা বেশি জোড়াফুল শিবিরের তরফে। কিন্তু শ্লোগান না দিলেও যদি বাংলার সব লোকসভা আসনেই তৃণমূল ২০২৪ সালে জিতে যায় তাহলে অবাক হওয়ার যে কিছু থাকবে না সেটা সঙ্ঘ নেতারা মেনে নিচ্ছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

‘বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে উপহাস করছে’, তৃণমূলের আক্রমণে অস্বস্তিতে বিজেপি

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর