এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সল্টলেকের নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছে বিধাননগর কর্পোরেশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: এবারের বর্ষার আগে বিধান নগর এলাকায় জমা জল অতি দ্রুত সরাতে নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছে কর্পোরেশন।সল্টলেকের(Saltlake) নিকাশি ব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজাতে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করেছে নগরোন্নয়ন দফতর। যার জেরে বদলে ফেলা হচ্ছে সল্টলেকের সমস্ত জল নিকাশির পাম্পিং স্টেশন সিস্টেম। আগামী বর্ষার আগেই সেই সব পাম্পিং স্টেশন চালু করে দিতে কাজ চলছে জোরকদমে। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সমস্ত পাম্পিংস্টেশনের এত দিন বর্জ্য জল বহনের যে ক্ষমতা ছিল, নতুন প্রকল্পে তা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।

ফলে অতি দ্রুত বৃষ্টির জল পার্শ্ববর্তী নালা খাল এসব জায়গায় পাঠাতে সুবিধা হবে।সল্টলেক নগরী তৈরি হওয়ার পর থেকে সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থা পুরনো পাম্পিং স্টেশনগুলির ওপরেই নির্ভরশীল ছিল। নতুন করে কোনও পাম্পিং স্টেশন সেখানে তৈরি হয়নি। যে সময়ে সল্টলেক তৈরি হয়েছিল, তখনকার জল বহনের প্রয়োজন অনুযায়ীই ওই সব পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ের তুলনায় বর্তমানে জনবসতি বেড়েছে কয়েক গুণ। তা ছাড়া, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাজ করার পরে পাম্পিং স্টেশনগুলির কার্যক্ষমতাও কমে এসেছে। ফলে পুর নিকাশি বিভাগের তরফে নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে সল্টলেকের পাম্পিং স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল। যা মঞ্জুর করেছে অর্থ দফতর।বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য (নিকাশি), দেবরাজ চক্রবর্তীর(Debraj Chakraborty) জানান, ‘‘সল্টলেকের মতো উন্নত শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বর্তমান সময়ে যতটা উন্নত মানের হওয়া উচিত, তা-ই করা হচ্ছে। নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে বর্জ্য জলের পাম্পিং স্টেশনগুলিকে উন্নত করার জন্য আবেদন করেছিলাম। দফতর আনুমানিক ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব পাম্পিং স্টেশনগুলি উন্নত মানের চালু করার চেষ্টা চলছে।’’বর্জ্য জল টানার জন্য গোটা সল্টলেকে মোট আটটি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে।সেগুলি উন্নত করার কাজ প্রায় শেষের পথে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষেই সেগুলি চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ওই সব পাম্পিং স্টেশন(Pumping Station) এলাকার নিকাশি জলকে কেষ্টপুর খাল দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঠেলে দেয় প্রফুল্ল কানন বর্জ্যবাহী জল নিকাশির পাম্পিং স্টেশনের দিকে। সেখান থেকে তা চলে যায় বাগজোলা খালে। সল্টলেকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাটির নীচ দিয়ে বর্জ্যবাহী জল যাওয়ার পাইপলাইনগুলিও পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, গত দু’-তিন বছরে কেষ্টপুর(Kestopur) ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ খাল দু’টি বর্ষায় ভর্তি থাকায় সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ভারী বৃষ্টিতে জল দাঁড়াচ্ছিল। এমনকি, এক নম্বর সেক্টরে আবাসিকদের বাড়ির একতলাতেও জল ঢুকে পড়ছিল। এ বার ওই দু’টি খালই সংস্কার করেছে সেচ ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই সঙ্গে বর্ষার আগে বদলে ফেলা হচ্ছে সল্টলেকের নিকাশি পাম্পিং স্টেশনগুলিও। এখন দেখার বিষয় সল্টলেক এলাকার পাশাপাশি বাগজোলা খাল সংলগ্ন বাগুইহাটি ও কেষ্টপুর অঞ্চলের যে বিস্তীর্ণ ওয়ার্ডগুলি আছে সেখানকার মানুষজন জমা জলের হাত থেকে কত তাড়াতাড়ি মুক্তি পায়। কারণ ভারী বৃষ্টি হলেই সল্টলেক পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আদর্শ পল্লী, নিউ আদর্শপল্লী, সন্তোষ পল্লী, শিমুলতলা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা জলের তলায় চলে যায়। বাগুইআটির জগৎপুর বাজার এলাকা জলে ডুবে থাকে। সল্টলেকের পাশাপাশি ওইসব অঞ্চলের মানুষজন জ্বল যন্ত্রণা থেকে এবারের বর্ষায় মুক্তি পায় কিনা সেটাই এখন দেখার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে জরুরি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ

প্রথম দফার ৩ আসনেই জিতবে তৃণমূল, আত্মবিশ্বাসী চন্দ্রিমা

বেঙ্গল কেমিক্যালসের সামনে ফুটপাতে উঠল গাড়ি, দুর্ঘটনায় আহত ২ শিশু সহ ১ মহিলা

সিঙ্গুরে টাটাদের ক্ষতিপূরণের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন হাইকোর্টের বিচারপতি

ভোটের মুখে বিজেপির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর