নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবার কাণ্ডকারখানা ও দাবিদাওয়াকে এবার পাগলামি বলার পাশাপাশি বাবাকে ‘পাগল’ বলেও দেগে দিলেন ছেলে। যে বাবাকে ঘিরে এহেন আক্রমণ তিনি কলকাতা শহরের প্রাক্তন মহানগরিক তো বটেই, একই সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়কও। কিন্তু প্রেমের জোয়ারে ভেসে সেই মহানাগরিক হারিয়েছেন নিজের পরিবার, নিজ রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি মায় ক্ষমতাও। হারিয়েছেন মন্ত্রীত্ব, শহরের মেয়র পদ, বিধায়ক পদ ও কাউন্সিলর পদও। কার্যত সর্বপ্রকারের রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। দিন কাটাচ্ছেন গোলপার্কের বাড়িতে রাজনীতি ছাড়াই। তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরই ছেলে সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই ফেসবুক লাইভে এসে কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন শোভন। জানিয়েছিলেন, তাঁর দুই নয়, তিন সন্তান। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, ‘দশমীর দিন সিঁদুর খেলার ঘটনাতে আপনারা ছেলেখেলা মনে করতে পারেন কিন্তু তা কীভাবে সত্যি করতে হয় সেজন্য আমি শপথ নিয়েছি। হিম্মত থাকলে দেখে যান। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের যাবতীয় অপপ্রচারের জবাব আমি ফেসবুক ভিডিয়োতেই দেবো। অপেক্ষা করুন।’ সেই প্রসঙ্গেই এবার বাবাকে আক্রমণ করেছেন সপ্তর্ষী। বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়াই উচিত নয়। তিনি বলছেন তাঁর আরও একটি সন্তান আছে। এখন যদি পাগল হয়ে এবার বলে বসেন তিনি তাঁর নিজের মেয়ে সেক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট করানো উচিত। আমি বিশ্বাস করি না একটা মানুষ ৪ বছরে এতটা পাগল হয়ে গেল যে মাথায় সিঁদুর লাগাচ্ছে বেআইনিভাবে।’
একইসঙ্গে সপ্তর্ষী মায়ের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। রত্না চট্টোপাধ্যায়কে এবার কলকাতা পুরনির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এমনিতেই রত্না শোভনের ছেড়ে যাওয়া বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। তারওপর আবার দল তাঁকে শোভনেরই ছেড়ে যাওয়া ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে। তা৬র এই প্রার্থী হওয়া নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় উভয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে সপ্তর্ষী জানিয়েছেন, ‘২০১৭ সালের পর থেকে এই ওয়ার্ডের মানুষের সুখ, দুঃখে পাশে ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় শোভনবাবু ঘুরেও দেখেননি তিনি যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেখানের মানুষজন কেমন রয়েছে। আম্ফানের সময় মা একা হাতে এই ওয়ার্ডটা সামলেছেন। সেখানের মানুষের সুখ দুঃখপাশে থেকেছেন। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাগ করাটা বোকা বোকা বিষয়। শোভনবাবু চলে যাওয়ার পর মা ফাইট করেছেন। তাই তাঁকে টিকিট দিয়ে দল তাঁকে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে বলে আমি মনে করি।’