এই মুহূর্তে




শিবমন্দিরে ঢুকতে যেন বাধা না পান তফসিলিরা, অবশেষে হাইকোর্টে রায়ে স্বস্তি পেলেন বঞ্চিতরা




নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ৩০০ বছর পর নদীয়ার কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিবমন্দিরে বেশকিছু নিম্নবর্ণের মানুষ, প্রবেশ, পুজোর অনুমতি পেলেন। শিবের মাথায় জল ঢালতে পারলেন নদীয়ার কালীগঞ্জের দেড়শ দাস পরিবার। শুক্রবার নদিয়ায় গাজন উৎসবে তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ শিবমন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত আরও জানাল, তফসিলিরা মন্দিরে ঢুকতে যাতে আরও কোনও রকম বাঁধা না পান, সেই তথ্য দিতে হবে নদিয়ার জেলা আদালতের বিচারককে। নদিয়ার বিখ্যাত গাজন উৎসবে তফসিলি নিম্ন সম্প্রদায়ের মন্দিরে প্রবেশ এবং সন্ন্যাসী হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকেরা।

সেই মামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছিল, তফসিলিদের মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়া, এমন বৈষম্যে মানবতা লঙ্ঘন হচ্ছে। পাশাপাশি এই পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্যে পুলিশকেও ধমক দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এবং রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। অবশেষে শুক্রবার (২১ মার্চ) আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ। এবং রিপোর্টে তারা স্পষ্ট উল্লেখ করেছে যে, আদালতের নিয়ম মেনে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নিয়েছে। সুতরাং সেখানে আর কোনও সমস্যা নেই। পুলিশ নিশ্চয়তা দেওয়ার পরেই আজ হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিলেন যে, এবার থেকে কালিগঞ্জ থানার অন্তর্গত ওই শিবমন্দিরের গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন জেলা আদালতের বিচারক। এবং ধোপা গাজন সম্প্রদায়ের লোকেরা উৎসবে যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের কোনরকমভাবে বাঁধা দেওয়া যাবে না।

উৎসব চলাকালীন তিনদিন পরপর পুলিশকে বিচারকের কাছে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। সেই রিপোর্ট উচ্চ আদালতে পাঠাবেন জেলা আদালতের বিচারক। কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, উৎসব চলাকালীন কোনও অশান্তির সৃষ্টি হলে জেলা সুপারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন জেলা আদালতের বিচারক। পাশাপাশি উৎসবে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কঠোর করতে হবে। বিচারক চাইলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। দিন কয়েক আগেই শিবমন্দিরে দাস সম্প্রদায়ের লোকেদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে শোরগোল পরে গিয়েছিল কাটোয়ার গিধগ্রামে। কয়েকদিনের এই ঝামেলা কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে খুশি দাস পরিবার।

প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জের বৈরামপুর নামক একটি জায়গায়, শতবর্ষ প্রাচীর একটি শিব মন্দির রয়েছে, শিব মন্দিরে তপশিলি জাতি অন্তর্ভুক্ত পরিবারদের প্রবেশ এবং পুজো দিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তৎকালীন ওই এলাকার কিছু উচ্চ বর্ণের মানুষজন। বহুবার অনুনয় বিনয় এবং পারস্পরিক মধ্যস্থতা সত্ত্বেও বদলায়নি তাঁদের দেওয়া নিদান। এরপরই তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তফশিলি মানুষজন। অবশেষে হাইকোর্টে রায়ে প্রাণে জল এল মন্দিরে প্রবেশ না করার বঞ্চি মানুষদের।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অতি শীঘ্র ধর্মতলা থেকে শিয়ালদা রুটে ছুটবে কলকাতা মেট্রো

গুজরাত পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক, পরে মুক্ত

২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, সমুদ্রে যেতে মানা মৎস্যজীবীদের

ঝালদার মসজিদ থেকে পাকিস্তান মুর্দাবাদ হিন্দুস্তান জিন্দাবাদের স্লোগান

জঙ্গি যোগে আটক কৃষ্ণনগরের যুবক, ভয় দেখাতে গিয়ে নিজেই পুলিশের জালে, তদন্তে NIA

দিঘায় মন্দির উদ্বোধন, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা প্রশাসনের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর