সরে যাচ্ছেন অনুগামীরা, দাপট বাড়ছে দিদির! শুভেন্দুর সভা মহিষাদলে
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: সঙ্কট পুরো কেটে যায়নি। বন্ধ হয়ে যায়নি আলোচনার সব রাস্তাও। তাই জননেতা কী করেন তা নিয়ে আগ্রহ থেকেই যাচ্ছে আমজনতার। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় জননেতার শুক্রবার বৈঠকে বসার কথা ছিল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে। সেই বৈঠক নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনও তথ্য আসেনি। সম্ভবত সেই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন জননেতা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের যে জল্পনা ছড়িয়েছিল সেই বৈঠকও হয়নি। তবে সামনে এসেছে আগামিকাল, মানে রবিবার মহিষাদলে জননেতার এক সভা করার বিষয়টি। একই সঙ্গে সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশই দাপট বাড়ছে ‘দাদার অনুগামী’দের পরিবর্তে ‘দিদির অনুগামী’দের। সেখানে এখন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে, ‘আওয়াজ উঠেছে বঙ্গে, আমরা দিদির সঙ্গে’।
মন্ত্রীত্ব ছাড়ার আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে আয়োজিত হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর শেষ জনসভা। আগামীকাল হতে চলেছে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরে তাঁর প্রথম জনসভা। সেটাও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাটিতে যা তৃণমূল জমানায় তথাকথিত অধিকারীদের গড় হিসাবেই সুপরিচিত। রামনগরের জনসভায় বেশ ভালই ভিড় হয়েছিল। এখন দেখার বিষয় আগামিকাল মহিষাদলের বুকে সেই একই ভিড় দেখা যায় কিনা। রবিবার তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই সভা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভা উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। শুভেন্দু নিজেও এই সমিতির চেয়ারম্যান। অনেকেই মনে করছেন এই সভা থেকে শুভেন্দু আগামিদিনে কোন পথে হাঁটবেন সেই সম্পর্কে ইঙ্গিত দিলেও দিতে পারেনব। তাই এই সভার দিকেই আপাতত চেয়ে আছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সংবাদমাধ্যম। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এই সভার মূল চ্যালেঞ্জ অবশ্যই ভিড় টেনে দেখানো। কারন তাঁর পাশ থেকে সরতে শুরু করেছেন তাঁর অনুগামীরা। পাশে দাঁড়ায়নি নিজের পরিবারের সদস্যরাও। এমনকি চিরাচরিত ভাবে যে সব বিধায়কেরা তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন তাঁরাও বেসুরো ঠেকছেন। দলের পদাধিকারী থেকে জনপ্রতিনিধিরাও সেভাবে পাশে দাঁড়াতে চাইছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নতুন পরিস্থিতিতে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছেন জননেতা।
কিন্তু হঠাৎ করে এই সরে যাওয়া কেন? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে। শুভেন্দু বিজেপিতে গেলেও তাঁর সংখ্যালঘু অনুগামীরা গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে নারাজ। তাঁরা বিজেপির হাতে তামাক খেতে চাইছেন না, বিজেপির হাত শক্ত করতেও চাইছেন না। বিজেপিতে গেলে শুভেন্দু কখনই এনআরসি আর সিএএ নিয়ে সরব হওয়া তো দূর, তার বিরোধীতাও করতে পারবেন না। বরঞ্চ ওই দুই কালা কানুন নিয়েই তাঁকে গলা ফাটাতে হবে তা লাগু করার দাবি তুলে। সেই সঙ্গে রামমন্দির থেকে বাবরি মসজিদ, গুজরাত দাঙ্গা থেকে দিল্লির দাঙ্গা, সবটাই এখনও টাটকা রয়েছে গিয়েছে এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজে। তাঁরা বিজেপিতে একদমই ঘেঁষতে চান না। শুভেন্দু অনুগামী কিছু নেতা দাবি করছেন শুভেন্দু যাই করুন না কেন তাতে নন্দীগ্রাম বা বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ পাশে থাকবে। যদিও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা তা মনে করছেন না। আবার যারা সংখ্যালঘু নন তাঁরা কেউ অনিশ্চয়তার পথে যেমন পা বাড়াতে চাইছেন না তেমনি বিজেপিতে দিলীপ গোষ্ঠীর দাপটে তৃণমূল থেকে যাওয়া নেতাদের কোনঠাসা দশা দেখে সে পথ মাড়াতে চাইছেন না। শুভেন্দু যে পথেই যান না কেন সঙ্গে অবশ্যই তৃণমূলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভোট সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এতে তৃণমূলের ক্ষতিসাধন হবেই। বিশেষ করে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। কিন্তু বাকি বাংলায় এই প্রভাব যেমন পড়বে না তেমনি ওই ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভোট নিয়ে বিজেপিতে ভিড়লেও জয় সিনিশ্চিত হবে কিনা সেটাও অনেকেরই অজানা। তাই সকলেই এখন গিয়েছেন থমকে। অনেকেই চাইছেন শুভেন্দু পৃথক দল গড়ুন। নিজের পছন্দমতন প্রার্থী দেন। তাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেস বা তৃণমূল কিংবা বিজেপির সঙ্গে দরকষাকষির জায়গা খোলা থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু কী করবেন তা একমাত্র তিনিই জানেন। আর এই কারনেই আগামিকালের সভার দিকে তাকিয়ে থাকছেন সকলে।
আর এই রকম পরিস্থিতে নিজেদের ঘর গোছানোর পালা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। একদিকে আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে রাস্তায় নিজে নেমে গোটা দলকেই রাস্তায় আন্দোলনে নামিয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী যে সব জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন সেখানে সেখানে মিছিল থেকে সভা করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গিয়েছেন নতুন কর্মসূচি ‘আওয়াজ উঠেছে বঙ্গে, আমরা দিদির সঙ্গে’। কার্যত সোশ্যাল মিডিয়াতে এতদিন ধরে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ বলে শুভেন্দু অনুগামীদের যে প্রচার চলছিল তাকে পাল্টা দেওয়ার পাশাপাশি তার ধার কমিয়ে দিতে এই নতুন কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। গতকাল শুভেন্দু ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে আর গতকালই তৃণমূল সামনে এসেছে এই নতুন কর্মসূচির লোগো। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপি থেকে টি-শার্টে শোভা পাবে এই লোগো। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পালটে দিয়েছেন যুব তৃণমূলের অনেকেই। শুধু তাঁরাই নন, দলের সমস্ত বিধায়ক, যুব নেতা, ছাত্র নেতা – সকলেরই প্রোফাইল ছবি কিংবা ডিপি পালটে গিয়েছে এই নতুন লোগোয়। এই কর্মসূচির স্লোগান লেখা টি-শার্টও মিলবে এবার।
এরই সঙ্গে যে সব জেলায় শুভেন্দুর প্রভাব রয়েছে সেই সব জেলায় দলের সাংগঠনিক রদবদল যেমন শুরু করতে চলেছে তৃণমূল তেমনি সেখানে থাকা ক্ষমতার কেন্দ্রগুলিকেও সুরক্ষিত করতে নজর দিচ্ছে দিদি’র বাহিনী। আজই কলকাতায় মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গৌরবাবু শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হলেও দলের পাশে থাকারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই সঙ্গে এদিন বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে মালদার দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রকেও। বৈঠকে থাকবেন দলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও দলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুরও। বৈঠকের ডাক পেয়েছেন তৃণমূলের তিন জেলা কোঅর্ডিনেটরও। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পক্ষে মালদায় জেলা পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। পাঁচ বছরেরও বেশিসময় ধরে জেলা পর্যবেক্ষক থাকার সুবাদে জেলায় দলের সংগঠন কোথায় মজবুত, কোথাও আলগা তা নিজের হাতের তালুর মতোই চেনেন শুভেন্দু। জেলায় দলের নেতাদের অনেকেই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ। সেই জায়গায় আগামিদিনে জেলায় দলের সংগঠন আর কার্যকলাপ কারা দেখভেন বা করবেন সেটা আজকের বৈঠকেই তুলে ধরতে পারেন অভিষেক। এভাবেই এরপর একে একে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া ও হুগলি জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মন্ত্রীত্ব ছাড়ার আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে আয়োজিত হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর শেষ জনসভা। আগামীকাল হতে চলেছে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরে তাঁর প্রথম জনসভা। সেটাও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাটিতে যা তৃণমূল জমানায় তথাকথিত অধিকারীদের গড় হিসাবেই সুপরিচিত। রামনগরের জনসভায় বেশ ভালই ভিড় হয়েছিল। এখন দেখার বিষয় আগামিকাল মহিষাদলের বুকে সেই একই ভিড় দেখা যায় কিনা। রবিবার তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই সভা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভা উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। শুভেন্দু নিজেও এই সমিতির চেয়ারম্যান। অনেকেই মনে করছেন এই সভা থেকে শুভেন্দু আগামিদিনে কোন পথে হাঁটবেন সেই সম্পর্কে ইঙ্গিত দিলেও দিতে পারেনব। তাই এই সভার দিকেই আপাতত চেয়ে আছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সংবাদমাধ্যম। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এই সভার মূল চ্যালেঞ্জ অবশ্যই ভিড় টেনে দেখানো। কারন তাঁর পাশ থেকে সরতে শুরু করেছেন তাঁর অনুগামীরা। পাশে দাঁড়ায়নি নিজের পরিবারের সদস্যরাও। এমনকি চিরাচরিত ভাবে যে সব বিধায়কেরা তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন তাঁরাও বেসুরো ঠেকছেন। দলের পদাধিকারী থেকে জনপ্রতিনিধিরাও সেভাবে পাশে দাঁড়াতে চাইছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নতুন পরিস্থিতিতে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছেন জননেতা।
কিন্তু হঠাৎ করে এই সরে যাওয়া কেন? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে। শুভেন্দু বিজেপিতে গেলেও তাঁর সংখ্যালঘু অনুগামীরা গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে নারাজ। তাঁরা বিজেপির হাতে তামাক খেতে চাইছেন না, বিজেপির হাত শক্ত করতেও চাইছেন না। বিজেপিতে গেলে শুভেন্দু কখনই এনআরসি আর সিএএ নিয়ে সরব হওয়া তো দূর, তার বিরোধীতাও করতে পারবেন না। বরঞ্চ ওই দুই কালা কানুন নিয়েই তাঁকে গলা ফাটাতে হবে তা লাগু করার দাবি তুলে। সেই সঙ্গে রামমন্দির থেকে বাবরি মসজিদ, গুজরাত দাঙ্গা থেকে দিল্লির দাঙ্গা, সবটাই এখনও টাটকা রয়েছে গিয়েছে এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজে। তাঁরা বিজেপিতে একদমই ঘেঁষতে চান না। শুভেন্দু অনুগামী কিছু নেতা দাবি করছেন শুভেন্দু যাই করুন না কেন তাতে নন্দীগ্রাম বা বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ পাশে থাকবে। যদিও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা তা মনে করছেন না। আবার যারা সংখ্যালঘু নন তাঁরা কেউ অনিশ্চয়তার পথে যেমন পা বাড়াতে চাইছেন না তেমনি বিজেপিতে দিলীপ গোষ্ঠীর দাপটে তৃণমূল থেকে যাওয়া নেতাদের কোনঠাসা দশা দেখে সে পথ মাড়াতে চাইছেন না। শুভেন্দু যে পথেই যান না কেন সঙ্গে অবশ্যই তৃণমূলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভোট সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এতে তৃণমূলের ক্ষতিসাধন হবেই। বিশেষ করে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। কিন্তু বাকি বাংলায় এই প্রভাব যেমন পড়বে না তেমনি ওই ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভোট নিয়ে বিজেপিতে ভিড়লেও জয় সিনিশ্চিত হবে কিনা সেটাও অনেকেরই অজানা। তাই সকলেই এখন গিয়েছেন থমকে। অনেকেই চাইছেন শুভেন্দু পৃথক দল গড়ুন। নিজের পছন্দমতন প্রার্থী দেন। তাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেস বা তৃণমূল কিংবা বিজেপির সঙ্গে দরকষাকষির জায়গা খোলা থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু কী করবেন তা একমাত্র তিনিই জানেন। আর এই কারনেই আগামিকালের সভার দিকে তাকিয়ে থাকছেন সকলে।
আর এই রকম পরিস্থিতে নিজেদের ঘর গোছানোর পালা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। একদিকে আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে রাস্তায় নিজে নেমে গোটা দলকেই রাস্তায় আন্দোলনে নামিয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী যে সব জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন সেখানে সেখানে মিছিল থেকে সভা করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গিয়েছেন নতুন কর্মসূচি ‘আওয়াজ উঠেছে বঙ্গে, আমরা দিদির সঙ্গে’। কার্যত সোশ্যাল মিডিয়াতে এতদিন ধরে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ বলে শুভেন্দু অনুগামীদের যে প্রচার চলছিল তাকে পাল্টা দেওয়ার পাশাপাশি তার ধার কমিয়ে দিতে এই নতুন কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। গতকাল শুভেন্দু ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে আর গতকালই তৃণমূল সামনে এসেছে এই নতুন কর্মসূচির লোগো। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপি থেকে টি-শার্টে শোভা পাবে এই লোগো। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পালটে দিয়েছেন যুব তৃণমূলের অনেকেই। শুধু তাঁরাই নন, দলের সমস্ত বিধায়ক, যুব নেতা, ছাত্র নেতা – সকলেরই প্রোফাইল ছবি কিংবা ডিপি পালটে গিয়েছে এই নতুন লোগোয়। এই কর্মসূচির স্লোগান লেখা টি-শার্টও মিলবে এবার।
এরই সঙ্গে যে সব জেলায় শুভেন্দুর প্রভাব রয়েছে সেই সব জেলায় দলের সাংগঠনিক রদবদল যেমন শুরু করতে চলেছে তৃণমূল তেমনি সেখানে থাকা ক্ষমতার কেন্দ্রগুলিকেও সুরক্ষিত করতে নজর দিচ্ছে দিদি’র বাহিনী। আজই কলকাতায় মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গৌরবাবু শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হলেও দলের পাশে থাকারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই সঙ্গে এদিন বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে মালদার দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রকেও। বৈঠকে থাকবেন দলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও দলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুরও। বৈঠকের ডাক পেয়েছেন তৃণমূলের তিন জেলা কোঅর্ডিনেটরও। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পক্ষে মালদায় জেলা পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। পাঁচ বছরেরও বেশিসময় ধরে জেলা পর্যবেক্ষক থাকার সুবাদে জেলায় দলের সংগঠন কোথায় মজবুত, কোথাও আলগা তা নিজের হাতের তালুর মতোই চেনেন শুভেন্দু। জেলায় দলের নেতাদের অনেকেই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ। সেই জায়গায় আগামিদিনে জেলায় দলের সংগঠন আর কার্যকলাপ কারা দেখভেন বা করবেন সেটা আজকের বৈঠকেই তুলে ধরতে পারেন অভিষেক। এভাবেই এরপর একে একে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া ও হুগলি জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
More News:
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
বাংলার সাত পদ্মভূষণ এল একুশের প্রজাতন্ত্রে! ট্যুইট শুভেচ্ছা রাজ্যপালের
26th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
Leave A Comment