এই মুহূর্তে




ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

Courtesy - Instagram




নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘটনার সূত্রপাত চতুর্থী রাতে। সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। আর যত সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ততই কলকাতার একটি নির্দিষ্ট পুজো কমিটির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) গর্জন উঠেছে ‘বয়কট’র। সেই বিরোধিতার মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুললো সেই পুজো কমিটি। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেই তাঁরা জানালো যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা তাঁরা সমর্থন করেন না। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন থাকছে, কেন ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে না? নজরে দক্ষিণ কলকাতার(Kolkata) সিংহী পার্ক(Singhi Park)। চতুর্থীর রাতে গড়িয়াহাট এলাকার এই পুজো এলাকায় এক গরিব ফুচকাওয়ালার ডালা লাথি মেরে ফেলে দেন পুজো কমিটির এক সদস্য। সেই ঘটনাই ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ঘটনাতেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়েছেন, কিন্তু প্রতিবাদের আগুন নেভেনি।

আরও পড়ুন, জয়নগর কাণ্ডের জের, জুভেনাইল কেস দেখভালে পৃথক অফিসার নিয়োগে উদ্যোগী রাজ্য

সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া এবং ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সিংহি পার্ক পুজো এলাকার একটি রাস্তার ধারে এক গরীব মধ্যবয়স্ক ফুচকওয়ালার স্টল লাথি মেরে ভেঙে দিচ্ছেন, ওই পুজো কমিটিরই এক প্রভাবশালী সদস্য। এক যুবতী ভিডিয়ো করছে দেখেই উলটো দিকে মুখ করে হাঁটা লাগান ক্লাবের কর্মকর্তারা। আগুন গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ক্লাবকর্তাদের এক গরীব মানুষের সঙ্গে করা এই অমানবিক আচরণ। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয় সিংহী পার্কের পুজো বয়কটের(Boycott) ডাক। ঘটনার জেরে সরব হন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে টনক নড়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের। নিজেদের ভ্যারিফায়েড ইনস্টাগ্রাম(Instagram) পেজে ক্ষমা চেয়ে নেন তাঁরা। সাফাই স্বরূপ বলা হয়, ওই ফুচকাওয়ালাকে নাকি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি আরও বলা হয় অভিযুক্ত ক্লাবকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও সেই লেখায় কোথাও ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন, ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

সিংহী পার্ক পুজো কমিটির তরফে তাঁদের ইনস্টাগ্রাম পেজে লেখা হয়, ‘আমাদের পূজা মণ্ডপের কাছে একটি অনঅভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যা আমাদের পুজো কমিটি কখনই সমর্থন করে না। উপরোক্ত ঘটনায় যে ব্যক্তি দায়ী ছিলেন তার বিরুদ্ধে আমাদের পুজো কমিটি যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকেও (ফুচকাওয়ালা) যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস রাখি আমাদের তরফ থেকে ভবিষ্যতে এই ধরণের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’ যদিও এই দায়সারা ক্ষমাপ্রার্থনায় মন গলেনি নেটপাড়ার। বরং কেউ বলছেন, ‘লাথিটা তো প্রকাশ্যে মারা হয়েছিল স্টলে, তাহলে ওই ক্লাবের হোতাকে বলুন সবার সামনে ফুচকাওয়ালার থেকে ক্ষমা চাইতে’। আরেকজন বলেন, ‘গরীবদের পেটে লাথি মেরে আবার ঘটা করে দুর্গা পুজো করছেন’। অপর একজন লেখেন, ‘কী প্রমান আছে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন? আর এটারই বা কি প্রমান আছে যে লোকটি এই কাজটা করেছে তার যথাযথ শাস্তি হয়েছে? বিশ্বাস নেই বড়োলোকদের।’ প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর জুড়ে। তার মাঝে কলকাতার নামী ক্লাবের কর্তার এমন অমানবিক আচরণ সহজে ভুলছে না মানুষ, তা স্পষ্ট।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেষারেষি কমাতে বেসরকারি বাসে কমিশন প্রথা তোলার প্রস্তাব রাজ্যের

অস্থায়ী কর্মবন্ধুদের জন্য সুখবর, এক ধাক্কায় বেতন বাড়ল ২ হাজার টাকা

কতগুলি ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে? রিপোর্ট চাইল নবান্ন

স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়াকড়ি! সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের

অতি চালাকি করতে গিয়ে ফাঁসলেন আইসি, সরানোর নির্দেশ বিচারপতির

জেলে গুরুতর অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, ভর্তি করানো হল হাসপাতালে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর