নিজস্ব প্রতিনিধি: নবান্নে আচমকা হাজির শোভন-বৈশাখী। বুধবার সাড়ে তিনটে নাগাদ আচমকা নবান্নে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের ভিআইপি গেটের সামনে গাড়ি থেকে নামেন শোভন-বৈশাখী। গাড়ি থেকে নেমে সোজা চোদ্দ তলায় উঠে যান কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র এবং তাঁর সঙ্গী। সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শোভন-বৈশাখী। এদিন নবান্নে শোভন-বৈশাখীর আচমকা হাজিরায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কি আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন?
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে কলকাতা পুরসভার মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ব্যকিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে মেয়রের পদ ছাড়েন শোভন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। জানা যায় সেই সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সতর্কও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দেবার পর ২০১৯ সালে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বান্ধবী বৈশাখীও। তবে সেখানেও বেশিদিন টিকতে পারেননি শোভন-বৈশাখী জুটি। অবশেষে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২১ সালে বিজেপি ছাড়েন দুজনে।
বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই শোভন-বৈশাখী জুটির। কার্যত নিভৃতেই রয়েছেন তাঁরা। তবে কি ফের পুরনো দলে ফেরার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের সতীর্থ শোভন চট্টোপাধ্যায়? এদিন নবান্নে শোভন ও বৈশাখীর আচমকা হাজিরায় সেই প্রশ্নই উঠছে। রাজনীতিতে তাঁকে তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রী নেবেন কি না বা ফিরিয়ে নিলে কোন কাজে তাঁকে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে পরবর্তীতে জানা যাবে।