নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী ও রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দফতর সামলেছেন। কলকাতার মেয়র পদে ছিলেন আটবছর কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের ঠ্যালায় রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছেন শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়। আগামী রবিবার কলকাতায় পুরভোট। কিন্তু সেই পুরভোটে কোনও দলের হয়ে রাস্তায় নেই প্রাক্তন মেয়র। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাঁরই ছেড়ে যাওয়া ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়কে। এতে শোভনের প্রতিক্রিয়া, ‘আমার ছায়াতেই ভোট হচ্ছে ১৩১ নম্বরে। যাঁকে ভোটে দাঁড় করিয়ে নাকি আমাকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তিনিও তো সেই আমারই নাম ব্যবহার করে ভোটে লড়ছেন!’
শোভন বাবু এও জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। যতদিন তৃণমূল করেছি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে শেষ কথা ছিলেন। যা যা নির্দেশ এসেছে, তা-ই করেছি। আমার ব্যক্তিগত জীবনের অনেক পদক্ষেপই আমি তাঁকে জানিয়ে করেছি। কিন্তু পরে আমার পিঠেই কেউ কেউ ছুরি মেরেছেন। কিন্তু কুকুরকে মেরে ঝুলিয়ে দিলেও তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এমন এক জনকে দাঁড় করানো হয়েছে, যাঁর জনভিত্তি বলে কিছু নেই। তিনি আমারই নাম ব্যবহার করে একের পর এক ভোটে লড়ছেন।’
যদিও শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়ের দাবি উড়িয়ে দিয়ে রত্না চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমি প্রচারে বেরিয়ে ওর নাম উচ্চারণ পর্যন্ত করি না। উল্টে ভয় লাগে, কেউ যদি ধরে বলেন, এই তো তোমার স্বামীকে ভোট দিয়েছিলাম। কী করেছে? আবার ভোট চাইতে এসেছ?’ শোভনকে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘রত্না টিকিট পেয়েছেন, গত চার বছরে তাঁর কাজের নিরিখে। কমবয়সিদের নিয়ে রত্না এলাকা চষে ফেলছেন। শোভন এসব কথা বলে নিজেই নিজেকে ছোট করছেন। মানুষই তাঁদের রায়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, শোভনের চেয়ে অনেক ভাল রত্না। কাউন্সিলর হওয়ার পরে এলাকায় মুখ দেখানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন শোভন। ফলে যাঁকে কেউ তখনই চিনতেন না, তাঁর নামে এত বছর পরে আর ভোট হওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।’