নিজস্ব প্রতিনিধি: শোভন ও বৈশাখীর সিঁদুর দান পর্বের মধ্যে দিয়েই দশমীর সন্ধ্যা কেটেছে বাঙালির। বিষাদের সুর থাকলেও শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাণ্ড দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটদুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়ের বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দান পর্ব। কার্যত সেই কথা স্বীকার করেছেন খোদ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ধিক্কার জানিয়েছেন শোভনের শ্বশুর দুলাল দাস ও বর্তমান স্ত্রী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। জবাব দিতে ছাড়েননি শোভনের বর্তমান পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘ওঁরা চেষ্টা করছেন সম্পর্কটাকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু, আদতে তাঁরা বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন।’
ঋষি আগেই বাবার কর্ম কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন বারবার। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ‘সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোয় হতেই পারে। কিন্তু, আমার একটা প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের দেশে শরিয়ত আইন মানা হয় না। দুর্গাপুজো হিন্দুদের উৎসব। আইনত যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহিত, তখন তিনি কী করে এমন একজনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন যিনি অন্যের স্ত্রী এবং তাঁরও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। শোভন চট্টোপাধ্যায় স্নান করে বেরোনোর পর কালী পুজো করেন। তিনি যখন হিন্দু ধর্ম মানেন, তখন এত বড় আইন কী করে ভাঙেন। দুর্গাপুজোয় মহিলাকে সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে আরাধনা করা হয়। আমরা বলি, সব মহিলার মধ্যে দুর্গা রয়েছেন। আজ তিনি দুর্গাপুজোয় নিজের স্ত্রীকে অপমান করে অন্যের স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন। ইসলামেও বলা হয়েছে যদি আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান তাহলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু, এখানে তো উনি বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন।’
ঋষি আরও জানিয়েছেন, ‘মিডিয়ার সামনে তা তা থৈ থৈ করে নাচা হচ্ছে, তাঁরা সব কিছু রোমান্টিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু, এতবড় আইন ভঙ্গ হল, সমাজের মানুষজনের কি প্রশ্ন তোলা উচিত নয়? শোভন চট্টোপাধ্যায় কোনও সাধারণ ব্যক্তিত্ব নন। তিনি কলকাতার মেয়র থাকাকালীন মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। ওঁর বাড়ি থেকে সোনিয়া গান্ধীর বাড়ি পর্যন্ত শাড়ি যেত। আমার উত্তর চাই, শোভন চট্টোপাধ্যায় ধার্মিক বিষয় নিয়ে কেন খেলছেন? এবার দেশের মানুষের কাছে তাঁকে উত্তর দিতে হবে।’