নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের সন্তানদের কুশিক্ষা দিয়েছেন, ব্যবসার টাকা নয়ছয় করেছেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষিতা বলতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন শোভন বাবু। তিনি বলেছেন, ‘একাধিক কারণেই আমি রত্নার কাছ থেকে দূরে সরে আসি। রত্না বেশ কয়েক বছর ধরেই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। রত্না যে মোবাইল ফোন নম্বরটি ব্যবহার করতেন তা আমার কাগজপত্র ব্যবহার করে নেওয়া। তাই ওই ফোনের গত কয়েক বছরের যাবতীয় কল রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে। সেখান থেকেই আমি প্রমাণ পেয়েছি রত্না গোপনে কলকাতার বাইরে যেতেন। ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য-সহ আরও অনেক কিছু সামনে আনব।’
শোভন বাবু এও জানিয়েছেন, ‘অন্য কাউকে দোষ দেওয়ার আগে রত্না যে ব্যভিচারী জীবনে লিপ্ত হয়েছেন, সেটা দেখা উচিত। সেই ব্যভিচারী জীবনের জন্য আমি নির্দিষ্ট করে আইনগত ভাবে ডিভোর্সের মামলা করেছি। বিভিন্ন সময়ে যে উনি মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে গিয়েছেন, তার প্রমাণ আমার ডিভোর্স পিটিশনে দেওয়া আছে। আমাকে অকর্মণ্য বলা হচ্ছে, আর তিনি যে কাজের পরপুরুষের সঙ্গে লুকিয়ে অন্য জায়গায় ঘুরে এলেন। সাত পাকে বাঁধা পড়েও রত্না রক্ষিতা হয়ে গিয়েছে। অথচ বৈশাখী সাত পাকে বাঁধা না পড়েও সম্পর্ক তৈরি করেছে।’ রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়ের নামে টাকা হাতিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ করেছেন শোভন বাবু। সবটাই নষ্ট করেছেন বলে জানিয়েছেন কানন।
শোভন বাবু জানিয়েছেন, ‘দাস এন্ড চ্যাটার্জি’ এবং ‘ডিআরএসএস’ সংস্থার টাকা তছরুপ করেছে। আমার যত জমি আছে তা ভাড়া খাটিয়ে ওরা রোজগার করেছে। গত চার পাঁচ বছরে যে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছে তার হিসাব দিক আমাকে। আমি এটা নিয়েও মামলা করেছি, আমি আমার হিসাব ঠিক বুঝে নেব।’