নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে বন্ধ হল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের প্যান্ডেল বুর্জ খলিফা। করোনার মাঝেই দর্শকদের চাপে কার্যত অবরুদ্ধ হয়েছে বিধাননগর। মূল কারণ একটাই সবার লক্ষ্য শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। তাই পুলিশ, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপাতত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বুর্জ খলিফা। ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। গোটা কলকাতায় সমস্ত ভিড়টাই একা টেনেছে বিধাননগরের বুর্জ খলিফা। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোকে ঘিরে মানুষের ঢল এত বাড়ছিল যা সামলানো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। এর মাঝে গত মঙ্গলবার থেকে বিমান চালকদের আপত্তির জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় বুর্জ খলিফার লেজার লাইট শো। এরপর আজ আরও একধাপ এগিয়ে আজ বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের বুর্জ খলিফার আলো।
এদিন রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিধাননগরে এই মুহূর্তে গোটা দক্ষিণবঙ্গের লোক চলে এসেছে বলাই যায়। রাস্তায় নেই কোনও ট্রাফিক পুলিশ। মানুষের চাপে বন্ধ রয়েছে ভিআইপি রোড, বেলেঘাটা মোড় থেকে নিউটাউন দিয়ে ঘুরপথে গাড়ি ঘোরানো হচ্ছে এয়ারপোর্টের দিকে। যারা অফিস ফিরত নিত্যযাত্রীরা রয়েছেন তারা পড়েছে চরম বিপাকে। যদিও গোটা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বিকার বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশ। কোনও ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ে বিধাননগর পৌঁছাতে পারছেন না। কেউ আসতেও পারছেন না বলেই জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় বুর্জ খলিফার আলো বন্ধ রাখল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আলো নেভানোর প্রসঙ্গে পুজোর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছিলেন, ‘সব আলো বন্ধ হয়নি। বাইরের কাঠামোর আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে আপাতত। মানুষের যে ভিড় এসেছে, সেই ভিড় যাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার জন্যই আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছে।’ বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ও মন্ত্রী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আলো নেভানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।