নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৬ সালের উচ্চ-প্রাথমিকের নিয়োগে কিছুতেই কাটছে না জটিলতা। ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়ে আদালতে। সঠিক ভাবে নিয়োগ না হওয়ার কথা জানানো হয়, যার ভিত্তিতে আদালত হস্তক্ষেপ করে গত জুলাই মাসে একটি নির্দেশ দেয় আদালত। বলা হয়, সচিব পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে ৩ মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াতেও জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন জানায়, এত বিপুল সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়েছে তা এত দ্রুত খতিয়ে দেখে সমাধান করা সম্ভব না। তাই আরও তিনমাস সময় দেওয়া হোক। এসএসসি’র আর্জিতে মান্যতা দিয়েছে আদালত।
কমিশনের বক্তব্য শুনে বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য আরও ৩ মাস সময় দেওয়া হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তবে এই সময়ের মধ্যে তারা কোনও নিয়োগ করতে পারবে না। শিক্ষা দফতরের সহ-অধিকর্তা প্রতিটা অভিযোগ খুঁটিয়ে দেখবেন, বলেও জানিয়েছে আদালত। বুধবার আদালতে কমিশন জানায় মোট ২৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে তিন মাসে সাড়ে ছয় হাজার অভিযোগের নিষ্পত্তি করা গিয়েছে। বাকি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এখনও তিন মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। আর সেই আর্জিকেই মান্যতা দিয়ে অতিরিক্ত তিন মাস সময় দিয়েছে আদালত। এসএসসি নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগের নিষ্পত্তি হোক। পুরো ব্যাপারটা এসএসসি-কে দেখতে হবে, যাতে কোনও বিলম্ব ছাড়াই প্রক্রিয়া শেষ করা যায়। ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ১৫ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। সেই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। যার ভিত্তিতে টানা পাঁচবছরের বেশি সময় ধরে মামলা চলে নিষ্পত্তির রাস্তা দেখা যায়। কিন্তু তাতেও আরও কিছুটা মাস সময় চেয়ে নিয়েছে এসএসসি।