এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জাতীয় রেকর্ড এসএসকেএম হাসপাতালের, শততম অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি: ৭ বছরেই ১০০। ২০১৫ সালে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল সেটাই নজির গড়ল ২০২২ সালে। কলকাতার(Kolkata) এসএসকেএম হাসপাতাল(SSKM Medical College and Hospital) দেশের মধ্যে একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হিসাবে স্বীকৃত পেল যেখানে ১০০জন শিশুর অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া প্রতিস্থাপন(Hearing Aid Instalment) করা সম্পূর্ণ হল। দেশের(India) অপর কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই রেকর্ড নেই। সব থেকে বড় কথা এই ১০০টি অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সেই দিক থেকেও কার্যত নজীর গড়ল রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। শ্রবণ ক্ষমতা না থাকলে শিশুরা কথা বলতে শেখে না। তার জেরে তারা কালা ও বোবা হিসাবেই সমাজে চিহ্নিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনও। এই সমস্যার সমাধানের জন্য অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ক্ষেত্রেই রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম হাসপাতাল।

এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, শোনা ও বলা- এই দুই ক্ষমতা না থাকলে ছোট থেকেই শিশুদের জীবনযাপন কার্যত দুরহ হয়ে ওঠে। তাদের প্রয়োজন, সমস্যা, চাহিদার কথা তারা যেমন চট করে অন্য কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারে না তেমনি চট করে তাদের সমস্যা চট করে কেউ বুঝে উঠতেও পারে না। বাবা-মার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়ে ওঠে তাঁদের কথা বোঝার। তার থেকেও বড় কথা এই মূক ও বধির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই প্রচন্ড রকমের সামাজিক অবহেলার মুখে পড়তে হয়। তাদের অসহায়তা নিয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে মস্করা করে, তাচ্ছিল্য করে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো রীতিমত ইচ্ছাকৃত ভাবে হেনস্থা করে। এমনকি শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও সাধারন স্কুলে এই মূক ও বধির শিশুরা ভর্তিও হতে পারে না। একমাত্র মূক ও বধিরদের জন্য স্কুলগুলিতেই এদের ভর্তি হতে হয়। এ রাজ্যে সেই স্কুলও কার্যত হাতেগোনা বললেই চলে। সমস্যা হয় পরবর্তীকালে তাঁদের স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার পথেও। চট করে কোথাও কাজও পায় না তারা। আর এই সব সমস্যার জেরে মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন অভিভাবকেরাও।

মূক ও বধির শিশুদের এই সমস্যা দূরকরণের জন্য উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে ২০১৫ সালে এসএসকেএম হাসপাতাল শুরু করে শিশুদের অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া প্রতিস্থাপনের কাজ। সাধারণত এই প্রতিস্থাপনের খরচা বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো। এই এই বিশাল খরচের জন্য বাংলার বহু অভিভাবকই তাদের মূক ও বধির শিশুদের অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া প্রতিস্থাপনের পথে হাঁটতে পারতেন না। এই সমস্যা বুঝেই তা সমাধানের পথে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৫ সালে মূলত তাঁর উদ্যোগেই এসএসকেএম হাসপাতাল মুম্বইয়ের আলি জাভর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে। ঠিক হয়, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাটি নিখরচায় ককলিয়া সরবরাহ করবে। অপারেশন ও পরবর্তী চিকিৎসা করবে এসএসকেএম হাসপাতালের ইএনটি বিভাগ। তার জেরে এই ককলিয়া প্রতিস্থাপনের খরচা এক ধাক্ষায় কার্যত অর্ধেকে নেমে আসে।

২০১৫ সালে এই ভাবেই এসএসকেএম হাসপাতালে ইমরানা ইয়াসমিন নামে এক শিশুর অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন করা হয়। সেটাই ছিল এসএসকেএম হাসপাতালের অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের প্রথম ঘটনা ও পথচলা শুরু। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের খরচাও সম্পূর্ণ ভাবে সরকারি অর্থেই করার নির্দেশ দেন। যার জন্য এখন এই রাজ্যে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন হয় সম্পূর্ণ নিখরচায়। আর গতকাল এসএসকেএম হাসপাতালে ১০০তম অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া প্রতিস্থাপিতের ঘটনা ঘটেছে। আফাদ মল্লিক নামে ৪ বছরের এক শিশুর অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন করা হয় গতকাল। আর সেই দিক থেকেই দেশের মধ্যে নজীর গড়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে এই উদ্যোগ আজ দেশজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। সব থেকে বড় কথা মূক ও বদ্ধির শিশুরা এই অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের জেরে তাদের শ্রবণ ও বচন ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। তাই সামাজিক ভাবে আর তারা একঘরে হচ্ছে না। বিশেষভাবে সক্ষমদের স্কুল থেকে সাধারণ স্কুলে ভর্তি হতে পাচ্ছে তারা। আর তা দেখেই খুশিতে চোখের জলের বাঁধ ভাঙছে ওই সব শিশুদের অভিভাবকদের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কমিশনকে বলব বহরমপুরের ভোট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়’, মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

রাজ্য খাদ্য দফতরের SI নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের, তদন্তভার CID-কে

নয়া সুড়ঙ্গ খনন শুরু East West Metro’র, ভয়ে সিঁটিয়ে এলাকাবাসী

হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারাদের ফেরাতে হবে ঠিক কত টাকা, দেখে নিন

গরম থেকে বাঁচতে ট্রাফিকের হাতে ওয়েদার কিট তুলে দিলেন পুলিশ কমিশনার

ভোট ভিক্ষা করতে গিয়ে বিমান বসুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম তাপস রায়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর