নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ফের নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮৩ জন। সেই সঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার। অর্থাৎ বলাই যায় ওমিক্রন আক্রান্তের মাঝে এই পরিসংখ্যান স্বস্তি দিল রাজ্যের চিকিৎসক মহলকে। তবে দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হারের মতই একধাক্কায় কমেছে দৈনিক মৃত্যু। মারণ ভাইরাস কেড়েছে আরও ৬ জনের প্রাণ। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এটাই মূল চিন্তার কারণ চিকিৎসকদের কাছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে দেখা যায় সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। রবিবার ছুটির দিনে সেই গ্রাফ আরও কমেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ হাজার ৫৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে দু কোটি সাত লক্ষ ৫৯ হাজার ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৫৯ শতাংশে। নতুন করে আরও ৫৮৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯১ জনে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের মরণ কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন। যার ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৬০০ জনে।’
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘কলকাতা মহানগরীতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ফের দুশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীতে আরও ২১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন আর আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন।’
স্বস্তি দিয়েছে দৈনিক সুস্থতার হার-ও। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৯১ জন। এ নিয়ে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হলেন ১৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪৩ জন। রাজ্যে করোনার মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ৫৪৮ জন।