নিজস্ব প্রতিনিধি: শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে প্রচারে বেড়িয়ে, একসঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার। অনেক ‘অপরিচিত’ ও ‘অসাধু ব্যক্তি’ এই কাজ করেই থাকেন। এতে নিজেকে ওমুখ নেতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে নানান অসামাজিক কাজ করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করে। এতে বদনাম হয় সংশ্লিষ্ট নেতার। তাই আগেভাগেই নতুন পুর প্রার্থীদের সাবধান করেছেন সুব্রত বক্সী। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করা হয়েছে ৫৫ জন নতুন মুখকে। পুরাতন মুখ হিসেবে রয়েছেন ৮৯ জন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর। তাদের ভোটের নিয়ম কানুন জানা থাকলেও, নতুনদের সেই বিষয়ে কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
গত শনিবার হাজরার মহারাষ্ট্র নিবাসে তৃণমূল কংগ্রেসের পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। সেখানেই হাজির ছিলেন ১৪৪ জন পুর প্রার্থী। যাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সুব্রত বক্সী। সেখানেই তিনি নতুন প্রার্থীদের জানিয়ে দেন, কোনও ধরনের ‘অপরিচিত’ মুখকে যেন প্রচারে, মিছিলে, পথসভায় না দেখা যায়। তৃণমূলের নতুন প্রার্থীদের প্রচার অভিযানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগের কথা জানতে পারে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী কলকাতা জেলার দুই সভাপতি দেবাশিস কুমার ও তাপস রায় মারফত নতুন প্রার্থীদের কাছে বেশ কিছু নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সুব্রত বক্সী নতুন প্রার্থীদের জানিয়েছেন, ভোটের সময় অনেক ‘অসাধু ব্যক্তি’ প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে গিয়ে নিজেদের প্রভাব জাহির করতে যায়। প্রার্থীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যে ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে, তা-ও জনতার কাছে কৌশলে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা করতে পারে, এমন মানুষের অভাব নেই। তাই ‘অপরিচিত’ ব্যক্তিদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এই বিষয়ে সুব্রত বক্সী প্রার্থীদের জানিয়ে দিয়েছেন, এই ‘অপরিচিত’ ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থীরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন, তেমনই ভোট-পরবর্তী পর্যায়ে দলও ওই ধরনের অসাধু ব্যক্তিদের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। তাই আগে ভাগেই সাবধান হয়ে যান।