এই মুহূর্তে




মুখ ফিরিয়েছে জনতা, ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে ফায়দা লুঠতে নয়া কৌশলে গেরুয়া

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বামেদের(Left) ঝুলি থেকে বেড়াল আগেই বেড়িয়ে গিয়েছিল, এবার বেড়িয়ে পড়লো বিজেপির ঝুলি থেকেও। কর্মবিরতির পাশাপাশি রাজ্যের বিশেষ করে কলকাতার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। চলছে রিলে অনশন। আবার এদের সমর্থন করতে জুনিয়র ডাক্তাররা দিচ্ছেন গণইস্তফা। সব মিলিয়ে নাটকের পরে নাটক। আর এইসব নাটক দেখে তিতিবিরক্ত রাজ্যের জনতা। আর তাই কলকাতার ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশন মঞ্চ ঘিরে লোক নাই। লোক টানতে প্রথমে সিপিএমের তরফে নির্দেশ জারি হয়েছিল যে, দলের নেতাকর্মীদের হাজিরা দিতে হবে ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে। সেই নির্দেশ সুপারডুপার ফ্লপ খেয়েছে। দলেরই নেতাকর্মীরা সেভাবে পাত্তা দেয়নি আলিমুদ্দিনের নির্দেশকে। ভিড় জমাবার কৌশল ধাক্কা খেয়েছে দেখে এবার মাঠে নামছে বিজেপিও। এদিন অর্থাৎ রবিবার এক প্রেস বিবৃতিতে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) তরফে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) নির্দেশ জারি করেছেন যাতে পদ্মের নেতাকর্মীরা ডাক্তারদের আন্দোলনের(Junior Doctors Hunger Strike) মঞ্চে পাশে গিয়ে দাঁড়ান।

আরও পড়ুন, পুজো মিটলেই রাজ্যজুড়ে জনসংযোগে নামছে তৃণমূল, গুরুত্ব আদি নেতাকর্মীদের

আর জি কর কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে আন্দোলনের নামে যে রাজনীতি বেশি হচ্ছে সেটা প্রথম থেকেই বলা আসছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। পরে সময় যত গড়িয়েছে, সেই অভিযোগ ক্রমশই সত্যি হতে দেখেছেন রাজবাসী। আন্দোলনের নামে এখন কী কদর্য রাজনীতি চলছে সেটা তাঁরা নিত্যদিন দেখতে পাচ্ছেন। সরকার থেকে মাইনে নেব, কিন্তু কাজ করবো না, রোগী দেখবো না, হাসপাতালে যাব না, এই সব ঘটনা আর ভাল চোখে দেখছেন না রাজ্যবাসী। তাই কলকাতার ধর্মতলায় ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি না আছে আমজনতার সমর্থন, না আছে সেখানে হাজিরার ঢল। আমজনতা ধর্মতলায় নিজের নিজের কাজে গিয়েও আন্দোলনের মঞ্চ থেকে শত হস্ত দূর দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় সিপিএম চেষ্টা করেছিল দলের নেতাকর্মীদের ডেকে এনে এমন ভিড় তৈরি করতে যাতে ধর্মতলার পাশাপাশি কলকাতার একটা বড় অংশ অচল হয়ে যায়। সেই চেষ্টা মাঠে মারা গিয়েছে। এবার মাঠে নামছে বিজেপি। এদিন প্রেস বিবৃতি দিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘সরকার বিরোধী এই আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তারদের পূর্ণ সমর্থন করছে বিজেপি। সরকার দেওয়া কথা রাখেনি। তাতে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ সংগত। ওদের অনশনে যোগ দিন। চিকিৎসকদের অন্ধকার থেকে বাঁচাতেই হবে।’

আরও পড়ুন, জেলার কার্নিভাল নিয়েও থাকছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সুকান্তের এই নির্দেশ এখন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার করে দিল যে রাম-বাম এক হয়েই আর জি কর কাণ্ডের সুবিচার চাওয়ার নাম করে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে চরম নৈরাজ্যবাদ কায়েম করতে চাইছে। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমেছে। এদিকে দেড় বছরের মাথাতেই রয়েছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আর জি করকে ঘিরে বামেরা অক্লান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলের পরিসর ফিরে পেতে। এ রাজ্যে বিজেপি বেড়েছে বামেদের সমর্থন আদায় করেই। বাম ভোট গিয়েছে রামের ঝুলিতে। এখন সেই ভোট যদি বামেদের ঝুলিতে ফেরে তাহলে নিঃসন্দেহে বিজেপির ভোট কমবে। পাল্লা দিয়ে কমবে তার আসন ও রাজনৈতিক গুরুত্ব। এমতাবস্থায় এখন সুকান্ত চাইছেন খড়কুটো আঁকড়ে যদি বিজেপির গুরুত্ব বজায় রাখা যায়। আর সেই সূত্রেই দলের নেতাকর্মীদের লিখিত নির্দেশ দিলেন তিনি। যদি পর্দার পিছন থেকে বেড়িয়ে এসে প্রকাশ্যে এই ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানো যায় তাহলে হয়তো একটু বাড়তি ফুটেজ মিলবে, একটু বাড়তি ফায়দা লোটা যাবে, এই আর কি!




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেষারেষি কমাতে বেসরকারি বাসে কমিশন প্রথা তোলার প্রস্তাব রাজ্যের

অস্থায়ী কর্মবন্ধুদের জন্য সুখবর, এক ধাক্কায় বেতন বাড়ল ২ হাজার টাকা

কতগুলি ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে? রিপোর্ট চাইল নবান্ন

স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়াকড়ি! সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের

অতি চালাকি করতে গিয়ে ফাঁসলেন আইসি, সরানোর নির্দেশ বিচারপতির

জেলে গুরুতর অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, ভর্তি করানো হল হাসপাতালে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর