এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন কদর বাড়ছে মমতার, ফাঁস হল সেই হিসাব

নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে মাত্র দেড় বছর। তারপরেই আবারও পরীক্ষায় বসার পালা। সেখানে পরীক্ষা নেবেন আমজনতা। আর পরীক্ষা দেবেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্রার্থীরা। সেই পরীক্ষাতেই ঠিক হয়ে যাবে দেশের পরবর্তী সরকারের রাশ কাদের হাতে যেতে চলেছে, বিজেপি(BJP)র তথা এনডিএ(NDA)’র হাতে নাকি বিরোধিদের হাতে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছিল দেশের দেশের ৩৫২টি লোকসভা কেন্দ্র। তার মধ্যে বিজেপি একাই জিতেছিল ৩০৩টি আসন। কিন্তু সেই ছবিটাই আমূল বদলে যেতে পারে ২০২৪ সালের নির্বাচনে(General Election 2024)। অন্তত নানা সমীক্ষা সেই ইঙ্গিতই তুলে ধরছে। এখনও পর্যন্ত সেই সব সমীক্ষায় বিজেপির প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ২০০ থেকে ২১০ ধরা হয়েছে। কিন্তু দেশে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। আর এখানেই বিজেপির কাছে কদর বেড়েছে মমতার(Mamata Banerjee)। কেননা সমীক্ষা বলছে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪২টি আসন।

আরও পড়ুন পাল্টি খেলেন নবীন পট্টনায়ক, নজরে বাংলার দিদিও

২০১৯ সালে বিজেপি সব থেকে বেশি আসন পেয়েছিল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে, ৬২টি। তারপরেই ছিল মধ্যপ্রদেশ। সেখান থেকে এসেছিল ২৮টি আসন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) নিজ রাজ্য গুজরাত থেকে এসেছিল ২৬টি আসন। কর্ণাটক, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপি পেয়েছিল যথাক্রমে ২৫, ২৪ ও ২৩টি করে আসন। বিহার থেকে ১৭, ঝাড়খণ্ড থেকে ১১ আর বাংলা থেকে এসেছিল ১৮টি আসন। অসম ও ছত্তিশগড় বিজেপিকে দিয়েছিল ৯টি করে আসন। দিল্লির ৭টি আসনই গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। আবার ওড়িশা থেকে বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন। হরিয়ানাতে ১০টি আসনেই জেতেন বিজেপির প্রার্থীরা। হিমাচল প্রদেশের ৪টি ও উত্তরাখণ্ডের ৫টি আসনেও জেতেন বিজেপির প্রার্থীরা। এর বাইরে উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা থেকে ২টি করে আসনেও জয়ী হ্যেছিল বিজেপি। কেন্দ্র শাসিত এলাকা চণ্ডিগড়, দমন ও দিউ থেকেও এসেছিল ১টি করে আসন। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এসেছিল ৩টি আসন। তেলেঙ্গানা থেকে এসেছিল ৪টি আসন। গোয়া, মণিপুর থেকে ১টি করে ও পাঞ্জাব থেকে ২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সমীক্ষা বলছে এই হিসাব আর এক থাকছে না ২০২৪ সালের সম্ভাব্য ভোটচিত্রে।

আরও পড়ুন রাজ্য রাজনীতিতে ওজন বেড়েছে অভিষেকের, কমতি শুভেন্দুর

বাংলা থেকে কার্যত শূন্য হাতেই ফিরতে হতে পারে মোদির দলকে। এটা অবশ্যই গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। এনডিএ ছেড়েছে বিজেপির দীর্ঘদিনের ২ সঙ্গী। শিবসেনা ও শিরোমণি অকালি দল। তার জেরে মহারাষ্ট্রে ও পাঞ্জাবে ধাক্কা খাবে বিজেপি। মারাঠাভূমে বিজেপির আসন এক ধাক্কায় কমে হতে পারে মাত্র ৮। দিল্লি, পাঞ্জাব ও চণ্ডিগড়ে ভেলকি দেখাবে আপ। সেখানে বিজেপিকে হয় শূন্য হাতে ফিরতে হবে নাহলে ২-৩টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এনডিএ’র অপর এক দীর্ঘদিনের সঙ্গী সংযুক্ত জনতা দল সম্পর্কে বিচ্ছেদ টেনে দিয়েছে বিজেপির সঙ্গে। তার জেরে বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে বিজেপি সর্বোচ্চ ১০-১১টি আসন পেতে পারে। গুজরাতে এবারেও সব আসনের দখল বিজেপির দিকে গেলেও রাজস্থানে কিন্তু বিজেপির আসন কমে অর্ধেক হয়ে যেতে পারে। উত্তর প্রদেশ থেকে ৫০-৫২টি আসন পেতে পারে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ থেকে গোটা ২৫ এবং কর্ণাটক থেকে গোটা ২০। সব মিলিয়ে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২০০ থেকে ২১০টি আসন যা ম্যাজিক ফিগার ২৭২ থেকে ঢের দূরে। আর এখানেই বিজেপির চোখ মমতার দিকে।

আরও পড়ুন বাংলার ৪৫টি শিল্পতালুকে ১০০০ কোটির বিনিয়োগ

কেন মমতা? বাংলায় মমতার বিকল্প যে কিছু নেই সেটা ইতিমধ্যেই ভালই বুঝতে পেরেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। তারা এটাও বুঝেছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার সব আসনই তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে বসেছে। সেই হিসাবে মমতার সমর্থন থাকলে ক্ষমতা দখলের অনেকটা কাছে থাকবেন মোদি। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক আরও কিছু ছোট দলকে কাছে টানলেই ২৭২ এর ম্যাজিক ফিগারের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলা যাবে। তবে মমতা সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন জানাতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে বিজেপি এনডিএ শরিক হিসাবে থেকে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য এগিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেক্ষেত্রে শিবসেনা, শিরোমণি অকালি দল, এআইএডিএমকে, বিজু জনতা দলের সমর্থনও পেতে পারে এনডিএ। যদি সেটাই হয় তাহলে সেই সরকারেরভ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতাকে দেখা গেলেও তার রাশ কিন্তু থেকে যাবে সেই মোদি-শাহের হাতেই। কেননা কংগ্রেস মমতাকে সমর্থন করবে এটা ভেবে না নেওয়াই ভাল। আর এই হিসাব মাথায় রেখেই মমতার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলছেন মোদি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৫,২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠালো CBI

১৯ লক্ষ মানুষের মাথায় পাকা ছাদ, ‘গৃহশ্রী’ পোর্টাল আনছে রাজ্য

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর