নিজস্ব প্রতিনিধি: হরিদেবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় (HARIDEVPUR STUDENT DEATH CASE) শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিম তলব করেছেন সম্পূর্ণ রিপোর্টের। ইতিমধ্যেই আলো বিভাগের তিন আধিকারিক এর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। সাসপেন্ড (SUSPEND) করা হয়েছে একজন এসএই (SAE) (ইঞ্জিনিয়র)-কে।
যদিও সাসপেন্ড নির্দেশ হাতে পাননি বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র বলেছেন, পুরো কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারদের সচেতন হতে হবে অনেক বেশি। দায়ছাড়া ভাব মেনে নেওয়া হবে না। যদিও অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ররের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, জিনিস সাসপেন্ট হয়েছেন তিনি ওই বরো এলাকার নন। আরও দাবি, ওই পোস্ট ছিল বিএসএনএলের। সেখানে আলো লাগায়নি পুরসভা। জানা গিয়েছে, এই সাসপেনশনের প্রতিবাদে দেখানো হয়েছে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ। প্রতিবাদ জানিয়েছে কেএমসি ইঞ্জিনিয়র্স অ্যান্ড আলায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন।
উল্লেখ্য, বৃষ্টির ফলে এলাকায় জমেছিল জল। সেই জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে যাচ্ছিল ছেলে। যাওয়ার সময় লাইটপোস্টে হাত দিয়ে ফেলে সে। আর তারপরেই হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট। এরপর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয় এলাকার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দেহ পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই বালকের। সিইএসসি’র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই লাইটপোস্ট তাদের নয়। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (১১৫ নম্বর ওয়ার্ড) তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর। তিনি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন। এদিন তিনি বলেন, পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তিনি বলেন, জমা জল সরাতে পাম্প চালাতে বলেছিলেন। অভিযোগ, তখন না কি ঠিকাদার তাঁকে বলেছিলেন, ওয়ার্ক অর্ডার নেই।
এরপরেই মেয়র শোক প্রকাশ করে বলেছিলেন,বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত পড়ুয়া নীতীশ যাদবের পরিবারকে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে। তখনই নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ণাঙ্গ তদন্তের।