নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বৃহস্পতিবার পেশ হয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল। আর সেই বিলে ভোট পড়ল এদিন বিধানসভায় অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ভোট পড়েছে এদিন বিধানসভায় অনুপস্থিত বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীরও। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিধানসভায়।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও এদিন বিধানসভায় আসেননি শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিধানসভায় অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে পেশ হয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল। বেশকিছুক্ষণ ধরে চলে বিলের ওপর আলোচনা। আলোচনা পর্ব শেষে ভোটাভুটির দাবি জানায় বিজেপি পরিষদীয় দল। এর পর বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি স্লিপ দিয়েও নেওয়া হয় ভোট। বৈদ্যুতিন ভোটের তথ্য হাতে দেওয়ার পর পর বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের নাম ডেকে ডেকে যাচাই করেন বিধায়কদের উপস্থিতি। সেই সময় দেখা যায় বিধানসভায় অনুপস্থিত রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কিন্তু বিলের বিপক্ষে তাঁদের ভোট পড়েছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল বিধায়করা হই হট্টগোল শুরু করে দেন।
তৃণমূল বিধায়কদের অভিযোগ, বিলের বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা বাড়াতে এদিন বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকা শুভেন্দু ও মিহিরের ভোট দিয়ে দিয়েছেন অধিবেশনে উপস্থিত থাকা বিজেপি বিধায়করা। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কী ভাবে অনুপস্থিত থাকা বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির এক বিধায়কের ভোট পড়ল তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার। এদিন বিলের ওপর ভোটের ফল ঘোষণা করেন স্পিকার। সেখানে দেখা যায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১৯ টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৫৩ টি। বেশি ভোট পেয়ে এদিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিলটি পাশ হয়ে যায় বিধানসভায়।