নিজস্ব প্রতিনিধি: যাদবপুর থেকে পেটাতে পেটাতে ভারতবর্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে ড্রোনে বেঁধে এদের পাকিস্তানের মাটিতে ফেলে আসা উচিত।শুক্রবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরো বলেন,বিধানসভায় কবিগুরু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এসেছিলেন ।মুখ্যমন্ত্রী ছুটির দিনে বের হন না আজ যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী সেটা তিনি ভুলে গেছেন, এটা সমালোচনা নয়। এটা কঠিন বাস্তব। রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে আবেগ ভালবাসার জায়গা।বঙ্গ বিজেপি যেটা দায়িত্ব আছেন যে কোন কর্মসূচি ঘোষণা করলে শুরুতে এবং শেষে আমরা থাকবো।

বাংলাদেশ নিয়ে ও অন্যান্য জায়গা নিয়ে ভারত সরকার নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। বর্ডার এলাকা মজবুত করার জন্য কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি দুবার বৈঠক করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এখন আমাদের সবারই ভারত সরকারের পাশে থাকা উচিত। দেশ এবং রাজ্যের মধ্যে কোন ব্যবধান থাকা কাম্য নয়। এই মুহূর্তে যারা দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করছে তাদের মঙ্গল কামনা করা উচিত।দেশের সুরক্ষার জন্য যে সকল সেনাবাহিনী কাজ করে ফেলেছে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত এলাকায় এলাকায়।যারা বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ার যেসব উক্তি লিখছে রাজাকার এক প্রকার উশৃংখল জনগণ, বাংলাদেশের সেটাকে রিযুক্তি করে পোস্ট করছে তাদের চিহ্নিত করা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত আইন অনুযায়ী । পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এখানকার প্রশাসন।

গণশক্তি পত্রিকা নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। তিনি বলেন,এই পত্রিকা ঝালমুড়িতেও লাগে না, পশুর বিষ্ঠা ফেলতে এই পত্রিকা কাজে লাগায় না কেউ ।তাদের গত দুদিন যে হেডলাইন হয়েছে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের পত্রিকা কে লজ্জা দেবে।দেশের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গত ৬ তারিখে মক ড্রিলের কথা বলেছিলেন। সিপিএম চ্যাংড়া নেতারা বারবার এরা ভোটে হারে এবং সিকিউরিটি পয়সা ফেরত পায় না, তাঁরা কটাক্ষ করেছিল। ৭ তারিখে অপারেশন সিঁদুর হবার পর চুপ। ঈদের পর থেকে সোশ্যাল সাইট দেখুন নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে খিল্লি করেছে। এদের মুখ চুন হয়েছে অপারেশন সিঁদুর হওয়ার পর তিরঙ্গা। সিপিএমকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা বলেন,এরা তিরঙ্গা মিছিল করবেন না। ইনসাফ মিছিলে পাবেন না এদের। অথচ প্যালেস্টাইনে বোমা পড়লে এরা রাস্তায় নেমে পড়েন। শুভেন্দুর দাবি,সার্জিকাল স্ট্রাইক যেমন পাকিস্তানে চলছে তেমনি ২০২৬-এর ভারত বিরোধী টুকরে টুকরে গ্যাং উপরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা উচিত।বিজেপিকে যদি মানুষ ক্ষমতায়নে ২০২৬ সালে আনে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাদবপুর থেকে পিটাতে পিটাতে ভারতবর্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে ড্রোনে বেঁধে এদের পাকিস্তানের মাটিতে ফেলে আসা উচিত।